রাউটিং-সুইচিং ও ফাইভজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিলেন বুয়েটের ২৪ শিক্ষার্থী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৩৮ |  আপডেট  : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৯

সম্প্রতি, সফলভাবে চার মাসের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। প্রশিক্ষণ শেষে ২৪ জন শিক্ষার্থীকে একাডেমির পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

এ উপলক্ষে সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জব্বার খান এবং হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ পার্টনার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ঝ্যাংচেং।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া পাবলিক রিলেশনস ডিপার্টমেন্টের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার নাজিয়া সামান্থা ইসলাম সহ শিক্ষাবিদগণ ও বুয়েটের কর্মকর্তারা।

এ বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণের বিষয় ছিল রাউটিং ও সুইচিং (আইপি নেটওয়ার্কস) এবং ফাইভজি’র (সেলুলার অ্যান্ড মোবাইল নেটওয়ার্কস)। ২৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৪ জন শিক্ষার্থী রাউটিং ও সুইচিং নিয়ে এবং ১০ জন শিক্ষার্থী ফাইভজি নিয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। হুয়াওয়ে অথোরাইজড ইনফরমেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্ক অ্যাকাডেমি (এইচএআইএনএ) এই কোর্স ডিজাইন করা হয় ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় যা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।  এছাড়াও, প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের তিন হাজারের বেশি  আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষকদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হয় এই একাডেমিতে। এই একাডেমির লক্ষ্য পরবর্তী ব্যাচগুলোতে ১৯টি আলাদা বিষয়ে ৮৩টি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম পরিচালনা করা।    

অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য এখন আর শুধুমাত্র একাডেমিক জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। এই একাডেমির সাথে হুয়াওয়ের যে সংশ্লিষ্টতা আছে তার ফলে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক  বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও ভালভাবে জানতে পারছে। অর্জন করতে পারছে আন্তর্জাতিক সনদ যা তাঁদের জন্য সুফল বয়ে আনবে। এর মাধ্যমে তাদের কাজের সুযোগ আরও বিস্তৃত হবে এবং এই প্রশিক্ষণ তাদের ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করে তুলবে।’

হুয়াওয়ের ঝ্যাংচেং বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি উন্নত আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে এবং শিক্ষার্থীদের প্রাসঙ্গিক আইসিটি দক্ষতায় দক্ষ করে তুলতে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এই একাডেমির প্রতি তরুণ শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দেখে আমরা আনন্দিত। প্রথম ব্যাচের সকল অংশগ্রহণকারী যারা প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন, তাদের সবাইকে অভিনন্দন।’

উল্লেখ্য, আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে আইসিটি একাডেমি স্থাপন করছে। তরুণ শিক্ষার্থীদের আইসিটি সংশ্লিষ্ট দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশে হুয়াওয়ে এর ষষ্ঠ আইসিটি একাডেমি সম্প্রতি কুয়েটে প্রতিষ্ঠা করেছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত