মোংলায় সেই সুমি লীলার বিরুদ্ধে আবারো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:১৬ |  আপডেট  : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌর যুবলীগের সভাপতি সুমি লীলার বিরুদ্ধে আবারো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। অন্যের ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় সম্পত্তি নিজের প্রভাব খাটিয়ে অন্যকে পাইয়ে দিতে হুমকি ,মারধরসহ একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল কাদের নাঈম (২৪) বাদি হয়ে সুমি লীলা (৪০) ও হিমেল হালদারকে (২৫) আসামী করে মোংলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মোঃ আব্দুল কাদের নাঈম মোংলা উপজেলা ০৬ নং ওয়ার্ডের আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ কামাল হোসেনের ছেলে। 

মোঃ আব্দুল কাদের নাঈম তার লিখিত অভিযোগে জানান, আমার পিতা আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ কামাল হোসেন মোংলা উপজেলার শেলাবুনিয়া মৌজায় যার এস.এ-২২, বি. আর এস-০৯, এস এ খতিয়ান নং-২/২, বি আর এস খতিয়ান নং-৭৪৩ এ মোট জমি ০.২৩৪০ একর সম্পত্তি বিবাদী হিমেল হালদারের পিতা মোঃ ইউসুফ হাওলাদারের নিকট থেকে ক্রয় করে। দলিল দাতা নিজে মোংলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে এসে কবলা দলিল রেজিষ্টি করে ও আমার পিতাকে বাড়ীর দখল বুঝিয়ে দেয়। আমরা উক্ত জমিতে শান্তি পূর্ন ভাবে ভোগ দখল করে আসছি। গত সপ্তাহ খানেক ধরে আমরা যাতে আমাদের সম্পত্তিতে ভোগ দখল না করি এ জন্য ১ ও ২নং বিবাদী যোগসাজোসে আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি –ধামকী দিয়ে আসছে। তারা আমি ও আমার পরিবারকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ, মারধর, খুন জখম করবে বলে হুমকি প্রদান করে। তারা আমাদের জায়গায় কোন ভাবেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করতে দিচ্ছে না। তারা আমার পিতার সম্পত্তি জোর জবরানে ভোগ দখল করার চেষ্টা করছে এবং বাড়িতে অহেতুক বিঘ্ন সৃষ্টি করে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে গত ইং ২রা সেপ্টেম্বর দুপুরে মোংলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। ঐ দিনেই বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে আমি আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে গেলে ১ ও ২নং বিবাদী যোগ সাজশে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, মারধরসহ আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। এই সুমি লীলার মারধরে আমি রক্তাক্ত জখম হই। 

তিনি আরো বলেন, এই সুমি লীলা তিনি বিভিন্ন অপকর্মের জন্য দল থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন। নিজেকে মানবধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। সমাজের বিভিন্ন মাদক চক্রের সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।  এমনকি মামলার ২ নং বিবাদী হিমেল হালদার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও নেশা করার কারণে ইতিপূর্বে একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই সুমি লীলা আমাকে ও আমার পরিবারকে জামায়াত- শিবির বানিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা কথা ফেসবুকে শেয়ার করছে। তিনি বলেন, আমার পিতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মোংলা উপজেলার একজন সদস্য ও আমি পৌর ছাত্র লীগের একজন সক্রীয় কর্র্মী।  তিনি ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত