মেহেরপুরে টিকা নিতে উপচে পড়া ভিড়-কেন্দ্রে হট্রগোল
প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৫৬ | আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০:১০
মেহেরপুরে টিকাকেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়। প্রচন্ড ক্ষরতাপে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থেকেও নিতে পারছে না করোনা ভাইরাসের টিকা। টিকা নিতে না পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে টিকা কেন্দ্রে হট্রগোল করে নিবন্ধিত গ্রাহকরা। সোমবার দুপুরে মেহেরপুর কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল টিকা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মেহেরপুর সদর থানার একটি টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত টিকা গ্রাহকদের বুঝিয়ে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
দেখা গেছে, প্রচন্ড ক্ষরতাপ উপেক্ষা করে সকাল থেকে টিকা কেন্দ্রে কয়েক হাজার পুরুষ ও মহিলা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকার পরও অনেকে প্রায় ৬ ঘন্টা পার হলেও টিকা নিতে পারেনি প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ। টিকা নিতে এসে অনেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। কেউ কেউ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা না নিয়েই কেন্দ্র ত্যাগ করেন। অনেকে অভিযোগ করেন দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থাকার পরও অনেকে আমাদের আগে এসে টিকা নিয়ে যাচ্ছে।
এসময় মেহেরপুর সদর উপজেলা ¯স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ মোঃ আকরাম হোসেন কে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ চার হাজার জন কে দেওয়া হবে এ কারণেই এত ভিড়। মেহেরপুর জেলা রেড ক্রিসেন্টের টিম লিডার খন্দকার সোহাগ বলেন, প্রথম দিকে অনেকে টিকা নিতে না চাইলেও এখন অনেকে টিকা নিতে আসছে। একসাথে এত মানুষের টিকা দেওয়া খুবই কষ্টকর। টিকা নিতে এসে অনেকে প্রচন্ড ক্ষরতাপে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। লোকসংখ্যা ও বুথ কম থাকার কারণে এ অবস্থা। তবে উচিৎ নির্দিষ্ট সংখ্যাই ম্যাসেজ দেওয়া। মেহেরপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই সুপারইনটেডেন্ট মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, নির্ধারিত টাগর্েেটর সাথে বিগত দিনের ড্রপআউট গুলো সব এক সাথে চলে এসেছে। প্রচন্ড রোদ্রে মানুষ দাড়িয়ে থেকে বিক্ষুব্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় এক ঘন্টা টিকা দেওয়া বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ এসে আমাদের সিকিউরিটি দেওয়ার পর আবারও টিকা দেওয়া শুরু করি। উপর থেকে বলা আছে ৪৮ হাজার ভ্যাকসিন দিতে হবে ৯ তারিখের মধ্যে। এর আবার ডেটের একটা ব্যাপর আছে মেয়াদ উত্তীর্ণ আছে ২৭/১০/২০২১। দ্বিতীয় ডোজ পেতে হবে যার জন্যই ৯ তারিখের মধ্যে ৫০ হাজার ডোজ শেষ করতে হবে।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের লোকসংখ্যা কম থাকার কারণে তাদের ডিউটি ম্যানেজ করে তারপর কাজ করতে হয়। ভ্যাকসিনের ম্যাসেজ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়। তার কিছুটা ঘাটতি আছে আমাদের সাথে সমš^য় না করেই এসএমএস দিয়ে দিচ্ছে। আমার ক্যাপাসিটি কতটুকু তা না বুঝেই এসএমএস দিয়েছে। এসএমএস টা সদর উপজেলার হাতেই নিয়ন্ত্রণ আছে, আমাদের হাতে না।
মেহেরপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ নাসির উদ্দিন বলেন, একদিনে সম্ভব না। বুথের উপর নির্ভর করবে। আমার সাতটি বুথে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম চলছে। এসএমএস যেগুলো দেওয়া হচ্ছে নির্ধারিত দিনে না এসে অনেকে ব্যাক ডেটের মানুষ টিকা নিতে আসার কারণে এত ভিড় হচ্ছে। এজন্য আমরা বারবার বলার পরও মানুষ নির্দিষ্ট তারিখে টিকা নিচ্ছে না। আমাদের টার্গেটের চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে। কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার মোট সাতটি বুথ রয়েছে। প্রতি বুথে ৩ শত করে মোট ২১ শত মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। মেহেরপুরে এপর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ্য ৯ হাজার প্রথম ডোজ ও ৪২ হাজার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি সময় মত টিকা নেওয়ার আহবান জানান।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত