মেট্রোরেলের কোচ বহনকারী জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২১, ২১:৩৪ |  আপডেট  : ৫ মে ২০২৪, ১৮:১৯

ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলের ট্রেন বাংলাদেশে এসেছে পৌঁছেছে। মেট্রোরেলের কোচ বহনকারী জাহাজটি আজ বিকেলে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। আজ রাতে এবং আগামীকাল বগিগুলো খালাস করে বার্জে তোলা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

প্রথম চালানে মেট্রোরেলের একটি ট্রেন বাংলাদেশে এসেছে। এই ট্রেনের কোচের সংখ্যা ছয়টি। এগুলো আলাদা আলাদা আচ্ছাদন দিয়ে মুড়িয়ে আনা হয়েছে। বার্জে তোলার পর শুল্ক কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা হবে। এতে ১০ দিন সময় লাগতে পারে। এরপরই ঢাকার পথে রওনা হবে। উত্তরার কাছে নদীতে এসে থামবে। সেখান থেকে বড় ট্রলিতে করে উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রাখা হবে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব এম এ এন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেনটি আগামী ২৩ এপ্রিল ঢাকায় পৌঁছাবে বলে আগেই সময় ঠিক করা ছিল। আশা করছেন, এই সময়সীমার মধ্যেই চলে আসবে। এরপর ডিপোতে আনার পর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে।

মেট্রোরেলের কোচগুলো তৈরি হয়েছে জাপানে। ৪ মার্চ কোবে বন্দরে কোচগুলো জাহাজে তোলা হয়। মোংলা পৌঁছাতে ৩০ দিন লাগতে পারে, এমন ধারণা দেওয়া হয়েছিল। তবে এর আগেই চলে এসেছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে জাপানে থাকা অবস্থায় ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ উপস্থিত থেকে কোচগুলো পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে পারেনি। তৃতীয় পক্ষের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করেছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিএমটিসিএল কর্মকর্তারা তা পর্যবেক্ষণ করেছেন। এখন উত্তরার ডিপোতে এলে ডিএমটিসিএলের বিশেষজ্ঞরা পুনরায় ১৯ ধরনের বড় পরীক্ষা করবেন। এরপর কোচগুলো জোড়া দেওয়ার পর শুরু হবে পরীক্ষামূলক চলাচল। এ জন্য ডিপো থেকে পল্লবী পর্যন্ত মেট্রোরেলের লাইন, সংকেতব্যবস্থা ও স্টেশন অবকাঠামো প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, জাপানের কাওয়াসাকি–মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামকে ২৪ সেট ট্রেন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। দুপাশে দুটি ইঞ্জিন আর চারটি কোচের সমন্বয়ে ট্রেনের সেটগুলো তৈরি হচ্ছে জাপানে। এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে পাঁচ সেট ট্রেন, যার প্রথমটি দেশে এসে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় সেট ট্রেনটি জাপান থেকে ১৫ এপ্রিল রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেটি পৌঁছাতে পারে ১৬ জুন। আর তৃতীয় ট্রেনটি ১৩ জুন রওনা দিয়ে ১৩ আগস্ট পৌঁছাতে পারে। বাকি দুটি সেটের আসার সময়সীমা এখনো ঠিক হয়নি।

সব মিলে ২৪ সেট ট্রেনের দাম পড়ছে ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে এসব ট্রেন বাংলাদেশে আনার পর মোট খরচ হবে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুপাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তাব্যবস্থা–সংবলিত প্রতিটি টেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্ট কার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত