মেট্রোরেলের অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠন
প্রকাশ: ৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩১ | আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭
মেট্রোরেলের ভাড়া কমানো ও শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী)। একই সঙ্গে দেশে কাগজ-কলমসহ শিক্ষা উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ, পুনরায় ভর্তির নামে ফি আদায়সহ নামে-বেনামে ফি আদায় বন্ধ করা এবং অগণতান্ত্রিক ও ‘শিক্ষা ধ্বংস’-এর শিক্ষাক্রম-২০২০ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছাত্র ফ্রন্টের নেতারা এসব দাবি জানিয়েছেন। এই সমাবেশ থেকে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিও জানান সংগঠনের নেতারা। ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রগতি বর্মণের সঞ্চালনায় সমাবেশে সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম ও ঢাকা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অরূপ দাস শ্যাম বক্তব্য দেন।
রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, করোনা-পরবর্তী শিক্ষা খাতের ক্ষতি পোষানো ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে কোনো ধরনের বিশেষ বরাদ্দ তো দেওয়া হয়ইনি, বরং বিভিন্ন ধরনের ফি বাড়ানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মুনাফা নিশ্চিতের লক্ষ্যে শিক্ষাপণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। শ্রমিক-কৃষকের শ্রমে-ঘামে অর্জিত হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে মেট্রোরেল তৈরি করা হয়েছে। উন্নয়নের ডামাডোল পেটানো হচ্ছে, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা লুটপাট করা হয়েছে। কিন্তু এই অর্জন ব্যবহারের সুযোগ দেশের শ্রমিক-কৃষকের নেই, শিক্ষার্থীদেরও নেই। কেননা, মেট্রোরেলের নির্ধারিত ভাড়া অযৌক্তিক এবং সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে। শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে অর্ধেক ভাড়ার ব্যবস্থা করা হয়নি।
শিক্ষাক্রম-২০২০ ‘অগণতান্ত্রিক ও অবাস্তবায়নযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন সাদেকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই শিক্ষাক্রম প্রণয়নের ক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের যথাযথভাবে যুক্ত করা হয়নি। এটি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের নামকাওয়াস্তে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অংশীজন কর্তৃক মূল্যায়নব্যবস্থায় দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই শিক্ষাক্রম একদল অনুগত কর্মচারী তৈরি করবে এবং বর্তমান শোষণমূলক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার শোষণকেই সহযোগিতা করবে বলে মনে করছেন ছাত্র ফ্রন্টের নেতা। তাঁদের বক্তব্য হলো, শিক্ষাবিধ্বংসী এই শিক্ষাক্রম বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ক্যারিয়ার শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত