মার্কিন ভিসানীতি এটা খুশির কথা না, লজ্জার: মির্জা ফখরুল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:০২ |  আপডেট  : ১৬ মে ২০২৪, ১২:০৯

বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসানীতির বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকে আছেন খুব খুশি হয়েছে। এটা খুশির কথা না, লজ্জার কথা। এর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী সরকার। যারা আজকে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গোটা দেশকে-জাতিকে জিম্মি করে ফেলেছে।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্রি.জে. (অব.) আ.স.ম. হান্নাস শাহর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, রাজনৈতিকভাবে তারা কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে, এখন দল ভাঙার চেষ্টা করে। দল কখন ভাঙতে যায় প্রতিপক্ষ? যখন সে নিজে দুর্বল। সবল থাকলে তো এটা করবে না। আমাদের দলছুট, বহিষ্কৃত লোকজনদের নিয়ে আবার দল তৈরি করে আরও দল বানাতে চায়।

বুদ্ধিজীবীদের ভয় দেখানো হয় অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের বহু বুদ্ধিজীবী এখন টেলিভিশনে আসে না, টক-শোতে আসে না। কারণ তাদেরকে ভয় দেখানো হয়; আপনারা যদি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন তাহলে আপনাদের বিপদ হবে। সবচেয়ে স্পর্শকাতর ব্যাপারে আঘাত করে তারা-ছেলে-মেয়েরা যদি স্কুল-কলেজে পড়ে, তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয় অদৃশ্য জায়গা থেকে। এই রাষ্ট্রে আমরা বাস করছি।

ভিসানীতি নিয়ে বিএনপি কোনো বিপদে নেই উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, বিএনপি ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে আরও শক্তিশালী হয়েছে। গোটা রাষ্ট্র আজ বিপদগ্রস্ত। জাতিকে বিপদমুক্ত করতেই বিএনপির এ আন্দোলন।

তি‌নি আরও ব‌লেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনও নির্বাচনে এ দেশের মানুষ অংশ নিবেনা। তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, আমরাও যাবো না। তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে, এ জন্য অন্যদের দল ভাঙতে চায়, এগুলো করে লাভ হবে না। মানুষ‌কে দমিয়ে রাখতে পারবে না । বর্তমানে যে সংকট এই সংকট গোটা জাতীর, এদের আওয়ামী লী‌গের হা‌তে দেশ কতটা নিরাপদ থাকবে? আগামী দিনের দেশ কেমন হবে তা নির্ভর করছে আগামী কয়েক দিনের উপর। তাই সবাইকে রাজপথে বের হয়ে আসতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারকে সরকার বলা যায় না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিলাম শুধু ভুখণ্ড বা ম্যাপ পাওয়ার জন্য নয়, আমরা চেয়েছিলাম একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যেখানে আমার কথা বলার অধিকার, বিভিন্ন সংগঠন করার অধিকার থাকবে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল এক ছেলের সাথে কথা হলো, সে বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে কিন্তু পরিবার বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে চাকরি হয়নি। বিএপির পরিবারের সাথে নূন্যতম সম্পর্ক থাকলে তার চাকরি-প্রমোশন হয় না। প্রত্যেক মানুষ আজ অসহ্য হয়ে পড়ছে মিথ্যা মামলার জন্য। সরকারের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে তো দেশকে জিম্মি করতে পারে না। এটা দেশের জন্য সুখকর নয়।

বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্রি.জে. (অব.) আ.স.ম. হান্নাস শাহর স্মরণে মির্জা ফখরুল বলেন, সেনাবাহিনী থেকে যে নেতা বের হয়ে আসেন তিনি যোগ্যতা দক্ষতা নিয়ে বের হয়ে আসেন। বাংলাদেশকে ভালোবেসে, বাংলাদেশের রাজনীতীকে ভালোবেসে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। সবসময় তার মতো নেতা পাওয়া যায় না।


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত