মাদারীপুরে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় এক গৃহবধূকে শ্বাসরোগ করে হত্যার অভিযোগ

  শফিক স্বপন, মাদারীপুর

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৫৫ |  আপডেট  : ২ মে ২০২৪, ০৯:২৯

মাদারীপুরে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় শান্তা আক্তার(১৯) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোগ করে হত্যার করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।স গত বৃহস্পতিবার(১০ আগস্ট) রাতে মাদারীপুর পুরান বাজার মাছ বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শান্তা আক্তার মধ্যে পাঁচখোলা এলাকায় ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে ও নাঈম সরদারের স্ত্রী। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতদের পরিবার। মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার মধ্যে পাঁচখোলা এলাকার ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে শান্তা আক্তার ও পার্শ্ববর্তী জাজিরা এলাকার রিপন সরদারের ছেলে নাঈম সরদারের সাথে দীর্ঘ দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক থাকায় উভয় পরিবারের লোকজনস মিলে পারিবারিকভাবে চার মাস আগে দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে তাদের বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবি করে আসছে নাঈম। কয়েকবার মোটা অঙ্কের টাকাও দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু সে প্রায়ই শান্তাকে মারধর করত। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে শান্তার শ্বশুর রিপন সরদারকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তার স্বামী নাঈম সরদার আরো তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ টাকা দিতে অনিহা বোধ করলে স্বামী তার পরিবারের লোকজনেরা মিলে শ্বাসরুদ্ধ করে । মারাত্মক আহত অবস্থায় শান্তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে পালানোর সময় পুলিশ হাসপাতাল থেকে নাঈমকে আটক করেন।

নিহতের নানি মায়া বেগম বলেন, আমরা বিয়ের সময় তাদেরকে দুই লাখ টাকা দিয়েছি। পরে আমার নানি জামাই তার বাবা বিদেশ যাবে বলে নাতির কাছে আরো তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। নাতি শান্তা বলেছে, তার স্বামী নাঈম বিদেশ গেলে টাকা এনে দিবে। কিন্তু তার শশুর বিদেশে গেলে টাকা এনে দিতে পারবে না। এ কথা বলায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার নাতিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার করেছে। আমরা হত্যারকারীদের বিচার চাই। নিহত শান্তার বাবা ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, যারা মানুষ মারে তারা মানুষ না। তারা পশু। যারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। 

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরর্ত চিকিৎসক মোঃ শিহাব আহমেদ বলেন,এটি হত্যা না আত্মহত্যা এখনো বলা যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া যাচ্ছে। মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত