মাওয়া-লৌহজং-বালিগাঁও সড়ক খানা খন্দে ভরা, জনদুর্ভোগ  

  লৌহজং প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২১, ১৯:৩৫ |  আপডেট  : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:১৩

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া-লৌহজং-বালিগাঁও সড়কটির বেহাল দশা, এই সড়কটি এখন জনগনের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। যানজট আর সড়ক দু:র্ঘটনা এখন এই সড়কে নিত্য দিনের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। মাওয়া থেকে লৌহজং হয়ে বালিগাঁও দুরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার পথ সেখানে লৌহজংয়ের মালিঅংক বাজার আর বালিগাঁও বাজারের দুটি পয়েন্টে যানজটে পড়লে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় । 

এই সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী চলাচল করে এবং এই সড়ক দিয়ে লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলার লোকজন মুন্সিগঞ্জ আদালত পাড়া এবং জেলাপরিষদ সহ টঙ্গীবাড়ি উপজেলা, লৌহজং উপজেলা সহ দুইটি উপজেলা পরিষদে যাতায়ত সহ তিনটি হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ গৃুরুত্ব পূর্ন সব প্রতিষ্ঠানে যাতায়তের একমাএ সড়কটি এখন বেহাল দশা। মাঝে মধ্যে সড়কে কিছু অংশে কার্পেটিং করা হলেও মূল সড়কে খানা খন্দে ভরা আর বেহাল দশা। সামান্য একটু বৃষ্ঠি হলে বুজার উপায় থাকেনা এটি কোন সড়ক নাকি মিনি খাল। প্রতি দিন যানজট আর সড়ক দু:ঘটনায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। 

মালিঅংক বাজারের ব্যবসায়ী মো. স্বপন জানান, রাস্তার এই দুরর্দশা দেখে অনেকেই বাজারের আসতে চায়না এখন, বাজারে ক্রেতা কমেছে অনেক। ঘোড়াদৌড় বাজারে ব্যবসায়ী নীলকমল রনি দাস বলেন, সামান্য একটু বৃষ্ঠি হলেই রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যায়। বুজার উপায় থাকেনা মুল সড়ক কোনটি তাই প্রতিদিন অটো, রিকসা ও মোটর সাইকেল দ:ঘটনার শিকার হচ্ছে। 

বালিগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী রিপন শেখ বলেন, এই একটি সড়কের জন্য আমরা ব্যবসায়ীরা এখন মরতে বসেছি তার কারন এখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও ড্রেনগুলো ময়লা অবর্জনা দিয়ে বরাট হয়ে যাওয়ায় পানি দ্রুত সরছেনা। তাই বৃষ্ঠি হলে আমাদের দোকানপাট বন্ধ রাখতে হয় কারন বৃষ্ঠির পানি সরতে না পেরে দোকানে উঠে যায়। রাস্তার পানি সরতে বেশ সময় লেগে যায়।  মাওয়া থেকে লৌহজং হয়ে বালিগাঁও যেতে ১৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে দু’একটি যায়গায় দুই তিন ঘন্টা যানজটে বসে থাকতে হয়। সড়কের এই বেহাল দশা দেখে অনেক পথচারী দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে নয় কিলোমিটার ঘুরে গন্ত্যব্যে পৌছানোর রেকর্ডও রয়েছে। 

বর্তমানে লৌহজংয়ের মালিঅংক বাজার আর বালিগাঁও বাজার পথচারীদের কাছে এই দুটি বাজার আতংকের নাম। যেখানে যেতে ঘন্টার পর ঘন্টা রিকসা আর অটোতে বসে অপেক্ষা করতে হয়। এই দুই যায়গায় বেশ কয়েকবার সড়ক মেরামত কারা হলেও কোন কাজে আসছেনা কারন এই দুই যায়গার সড়কে দুই পাশে কোন রকম ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করায় বৃষ্ঠি হলে রাস্তায় পানি জমে যায় এবং খানা খন্দের সৃষ্ঠি হয়। এসব বাজারের দুই পাশে বড়বড় আকারের বেশ কটি মাকের্ট তৈরী করা হয়েছে যেখানে আগে বৃষ্ঠি হলে সহজে পানি খাল,বিল ও পুকুরে চলে যেত এখন এসব মার্কেট নির্মানের ফলে পানি সরার কোন ব্যবস্থা না থাকা সড়কটি সহজেই জলাবদ্ব হয়ে পরে আর খানা খন্দের সৃষ্ঠি হয়। 

এই বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিম রেজার সাথে কথা হলে তিনি জানান, এই সড়কটি টেন্ডার হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দু'এক মাসের মধ্যে কাজটি ধরবে। 


 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত