মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রশিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ
প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৫৪ | আপডেট : ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩২
বাগেরহাটে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান ও এমব্রয়ডায়ী ট্রেডের প্রশিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে যোগ্য প্রার্থী বি ত হয়েছেন। নিয়োগ বাতিল ও যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লিখিত আবেদন করেছেন ওই কার্যালয়ের আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান ও এমব্রয়ডায়ী ট্রেডের সাবেক প্রশিক্ষক ডালিয়া পারভীন। আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালককে মতামত প্রদান করতে বলা হয়েছে।
ডালিয়া পারভীন বলেন, ২০১১ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বাগেরহাট কার্যালয়ে আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান ও এমব্রয়ডায়ী ট্রেডের প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাই। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০১৪ সালের ২ জুলাই আমাকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তখন আমাকে বলা হয়েছিল পরবর্তীতে প্রকল্প আসলে আমাকে একই পদে চাকুরী প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন সময় উপ-পরিচালকের দপ্তরে কয়েকবার যোগাযোগ করি। প্রতিবারই আমাকে জানানো হয় এই ট্রেড বিলুপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের জুন মাসে আবারও আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান ও এমব্রয়ডায়ী ট্রেড চালু হয়। কোন প্রকার সার্কুলার ছাড়া অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে আকলিমা বেগম নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। যিনি ইতোপূর্বে জেলা কার্যালয়ে পাপস ট্রেডে চাকুরী করতেন। যা বর্তমান ট্রেডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। চাকুরীরত অবস্থায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে অর্জিত সনদের অনুকূলে আকলিমাকে এই চাকুরী দেওয়া হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। এর মাধ্যমে আমার অধিকার খর্ব করা হয়েছে, চাকুরী পাওয়ার পথ বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাজমুন নাহার ও অফিস সহকারি পতিত পবন রায় এই অনিয়ম করেছেন। চাকুরী ফিরে পাওয়াসহ অনিয়মকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ডালিয়া পারভীন নামের এই নারী।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের এক প্রশিক্ষক বলেন, পতিত পবন রায় একজন দূর্নীতি পরায়ন কর্মচারী। তার স্ত্রী চাকুরী প্রদান করার জন্য দর্জি বিজ্ঞান ও ফুড প্রসেসিং ট্রেড বাদ দিয়ে কম্পিউটার ট্রেড চালু করিয়েছেন উপ-পরিচালককে দিয়ে। পরবর্তীতে কম্পিউটার ট্রেডে পতিত পবন রায়ের স্ত্রী নিতিকা হালদারকে চাকুরী প্রদান করেন। এছাড়া প্রশিক্ষনার্থীদের ভাতা ও সরকারি টাকা আত্মসাতের মত অপরাধের সাথে জড়িত এই অফিসসহকারী এমন দাবি করেন এই প্রশিক্ষক।
এ বিষয়ে পতিত পবন রায় বলেন, এসব অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু বলব না। সবই উপ-পরিচালক স্যার জানেন, যা বলার তিনি বলবেন।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাজমুন নাহারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ডালিয়া পারভীনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কাছে বিস্তারিত মতামত চাওয়া হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত