ভারতে তীব্র আকাল ভ্যাকসিনের, ছয় মাসের আগে দ্বিতীয় ডোজ নয়, প্রস্তাব
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২১, ২০:৪৯ | আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৬
কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। এখন তাঁরা দ্বিতীয় ডোজের জন্য হন্যে হয়ে দৌড়চ্ছেন। কারণ, ভ্যাকসিনের তীব্র আকাল। প্রবল সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। এ সবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার ‘কোভিশিল্ডে’র দু’টি ডোজের মধ্যবর্তী সময় বাড়ানোর প্রস্তাব মেনে নিল কেন্দ্র। প্রথমে ৪ সপ্তাহ, পরে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের ব্যবধান এবার বেড়ে হল ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ। অর্থাৎ, এখন থেকে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ১১২ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়টি নেওয়া যাবে। এই নিয়ে তিন মাসে দ্বিতীয়বার দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ল। টিকার ঘাটতিই এই সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ বলে একপক্ষ সমালোচনায় সরব হলেও, তা অস্বীকার করেছে সরকার।
ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান তথা নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ডাঃ বিনোদকুমার পল এদিন বলেছেন, বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতেই সময় বাড়ানো হয়েছে। ‘কোভ্যাকসিনে’র ক্ষেত্রে দু’টি ডোজের ব্যবধানের কোনও পরিবর্তন হয়নি। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যেই নিতে হবে তার দ্বিতীয় ডোজ। জানা গিয়েছে, অক্সফোর্ডের গবেষণায় ‘কোভিশিল্ডে’র দু’টি ডোজের ব্যবধান বাড়িয়ে সুফল মিলেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিরাম কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা। তাঁর কথায়, এটি একটি বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত। সরকার নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এই পথে হেঁটেছে।
অন্যদিকে, কোভিড-জয়ী ব্যক্তি কতদিন পর টিকা নিতে পারবেন, তা নিয়েও আলোচনা শুরু করেছে ‘ন্যাশনাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনে’ (এনট্যাগি)। বর্তমানে সুস্থ হওয়ার ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর ভ্যাকসিন নেওয়া যায় বলেই গবেষকদের মত। এটিকে বাড়িয়ে ৬ মাস করা বিজ্ঞানসম্মত কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে। আইসিএমআরের মহামারীবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডাঃ সমীরণ পাণ্ডা জানিয়েছেন, ‘কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সাধারণত তিন মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডি সক্রিয় থাকে। তাই তার পরে ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে। ছ’ মাসের বিষয়টি এনট্যাগি প্রস্তাব করেছে। সিদ্ধান্ত হয়নি।’
অল্পবয়সিরাও কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় এবার শিশুদের শরীরে টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হচ্ছে। কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসিজিআই ‘কোভ্যাকসিন’কে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ওপর পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। ৫২৫ জনের ওপর ফেজ টু/থ্রির ট্রায়াল হবে।
অন্যদিকে, ডিসেম্বরের মধ্যে বায়োলজিক্যাল ই, নোভাভ্যাক্স সহ মোট আটটি ভ্যাকসিনের ২১৬ কোটি ডোজ মিলবে বলেই আশা করছে কেন্দ্র। আলোচনা চলছে মর্ডানা, ফাইজার এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গেও।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত