বিস্ফোরণের পর ক্রিমিয়া সেতু আংশিক সচল: রাশিয়া
প্রকাশ: ৯ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৪৪ | আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:১১
ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করা একমাত্র সেতুটিতে ফের হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে বিকট বিস্ফোরণে সেতুটির সড়কপথের কিছু অংশ ধসে যায়। খবর বিবিসির।
গতকাল শনিবার ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘ এই সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সেতুটিকে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
রুশ কর্মকর্তারা জানান, একটি লরির বিস্ফোরণ ঘটলে কাছে থাকা একটি গাড়ির ওই তিন আরোহী নিহত হন। সেতুর রেলপথের অংশও সচল হয়েছে বলে মনে হয়েছে। বিস্ফোরণে একটি তেলবাহী ট্রেনেও আগুন ধরে গিয়েছিল।
শনিবার সন্ধ্যায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও টুইট করে। এতে দেখা যায়, সেতুটি ব্যবহার করে যানবাহন চলাচল করছে।
এই রেল ও সড়ক সংযোগ কার্চ সেতু হিসেবেও পরিচিত। সেতুটি ২০১৮ সালে চালু হয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানে এটি মস্কোর প্রধান সরবরাহ রুট।
বিস্ফোরণের জন্য সরাসরি দায় স্বীকার করেনি ইউক্রেন। তবে দেশটির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক টুইটে লিখেছেন, ‘ক্রিমিয়া, সেই সেতু, সূচনামাত্র। অবৈধ সবকিছুই ধ্বংস হবে। চুরি হওয়া সবকিছু ইউক্রেনে ফেরত আসবে। সব দখলদারকে তাড়ানো হবে।’
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনাকে এপ্রিলে ডুবে যাওয়া রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত যুদ্ধজাহাজ মস্কোভার সঙ্গে তুলনা করেছে। এক টুইটে তারা বলেছে, ‘ইউক্রেনের ক্রিমিয়ায় রুশ শক্তিমত্তার দুটি কুখ্যাত প্রতীকের পতন হয়েছে। এর পর কোনটা?’
ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের বিষয়ে কিয়েভ সরকারের প্রতিক্রিয়া তাদের সন্ত্রাসী স্বভাবেরই সাক্ষ্য।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত