বিরোধীরা আশা করছে কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা আসবে: কাদের

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৮ |  আপডেট  : ২ মে ২০২৪, ১৮:৫২

যারা নির্বাচন বর্জন করেছে সরকারকে হটাতে তারা বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিরোধীরা আশা করছে কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা আসবে।শেখ হাসিনা কোনো নিষেধাজ্ঞা, কোনো ভিসা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করেন না। ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই নীতিতে শেখ সরকারের কার্যাবলী পরিচালিত হবে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা নির্বাচন বর্জন করেছে তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। এ সরকারকে হঠাতে তারা বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে। বিরোধীরা আশা করছে কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা আসবে।’

ইশতেহার বাস্তবায়ন করাই সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইশতেহার বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, অনেক বাধা বিঘ্ন আসতে পারে।’

রাজনীতিতে কেউ সন্ত্রাস বা অস্থিরতা তৈরি করলে তা মোকাবিলা করা হবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলবে। বিরোধীদলকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। তবে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব কিছুই করতে হবে। সেক্ষেত্রে কিছু প্রশাসনিকভাবে, কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। বিরোধীদলকে আমরা রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করব। তবে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করলে, আমরা নিশ্চয়ই জুঁইফুল নিয়ে যাব না।- বলেন কাদের।

এর আগে, সকাল ৯টায় সড়কপথে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গোপালগঞ্জে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী ও নতুন মন্ত্রীসভার সদস্যরা। পরে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তারা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর এই প্রথম নিজ জেলা গোপালগঞ্জ গেছেন শেখ হাসিনা।

সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর শনিবার নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন। পরদিন রোববার কোটালীপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২২টিতে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ নবনির্বাচিত ২৯৮ জন সংসদ সদস্য। গত বুধবার সকাল ১০টায় পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমে শপথ গ্রহণ করেন বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। এরপর তিনি শেখ হাসিনাসহ অন্য সংসদ সদস্যদের একসঙ্গে শপথ বাক্য পাঠ করান। জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ীরাও শপথ নিয়েছেন। এতে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ গঠিত হয়।

পরদিন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। যেখানে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত