বিগত ৫বছরে সাধ্যমতো উন্নয়নের চেষ্টা করেছি, বাকি বিচার জনগণের হাতে

  শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫৬ |  আপডেট  : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:২৫

প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। এমন অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে মানবিক ও জনতার চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। এমনি একজন হলেন বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ৯নং দেউলী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ হাই প্রধান।

তিনি বলেন, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে ইউনিয়নবাসীকে সাথে নিয়ে বাকী উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করবো। বর্তমানেও সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি, বাকী বিচার জনগণের হাতে। তিনি বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার প‚রণে বিস্তস্থ আওয়ামীলীগ কর্মী হিসাবে নিরলস ভাবে জনগণের সেবায় কাজ যাচ্ছেন। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৩হাজার। তিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ৭১৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা মার্কার জাহিদুল ইসলাম পেয়েছিলেন ৪১১০ ভোট। সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি "বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গবেষনা পরিষদ" এর পক্ষ থেকে সম্মাননা সনদ ও বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গবেষনা পরিষদ সম্মাননা এ্যাওয়ার্ড ২০২১ অর্জন করেন। তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও প্রতিভার মধ্যেমে ইউনিয়নের উন্নয়ন কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। শুরু থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সরকারের বরাদ্দ পাওয়া টিআর, কাবিখা, চলি­শ দিনের কর্মসৃজন কর্মস‚চিসহ প্রতিটি বরাদ্দ সঠিকভাবে জনগণকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। 

বিহারপুর গ্রামের জাহিদুল ও চন্দ্রহাটা গ্রামের লুৎফর জানান, "আমরা নেতা বা চেয়ারম্যান বুঝিনা, আঃ হাই ভাই একজন ভাল মানুষ। তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি চেয়ারম্যান থাকলে আমাদের এলাকার তথা ইউনিয়নের উন্নয়ন হবে।বিশেষ করে আমাদের দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিনই মাদকের ও জুয়ার আসর বসতো, তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এসব অপরাধ কমে গেছে। আমাদের দু:খ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাই।"বয়স্কভাতা কার্ডধারী আমেনা বেওয়া ও ভিজিডি কার্ডধারী এনামুল বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের বাড়িতে এসে অবস্থা দেখে নিজ উদ্দ্যােগে কার্ড করে দিয়েছে। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ৯নং দেউলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নে মহা-পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। তিনি ইউনিয়নে ২০ কিলোমিটার ইটসলিং, রহবল সাওয়ালদহ এলাকায় গজারীয়ার উপর ২৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি ব্রীজ, ২২লক্ষ টাকা ব্যায়ে পাতালিয়া খালের উপর ব্রীজ, ৭লক্ষ ৪২হাজার টাকা ব্যয়ে রহবল টু গোপালপুর পর্যন্ত ৪২০ ফিট আরসিসি রাস্তাসহ বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়ন, কালভাট, ব্রীজ স্কুল,মাদ্রাসা, কবরস্থান, মসজিদ, মন্দীর, ঈদগাঁমাঠ সংস্কার করেছেন। তার আমলে ৮শত বয়স্কভাতা কার্ড বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও ভিজিডি, ভিজিএফ, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সকল ভাতা সঠিক ভাবে জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। 

ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হাই প্রধান আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্য আদালত বসিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে প্রতিটি উন্নয়নম‚লক কাজ তদারকি, ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রনোদণা, কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষন, ইউনিয়ন বাসীর জন্য সরকারের দেওয়া বরাদ্দসম‚হের সুষম বন্টন এবং অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, স্বচ্ছতার সাথে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবাসহ বিভিন্ন ভাতার প্রদান। সর্বপরি ইউনিয়নকে ডিজিটাল ইউনিয়নে রূপান্তরের চেষ্টা করেছি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত