বিএনপির সংকটের পূর্বাপর

  মহিউদ্দিন খান মোহন

প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৫৯ |  আপডেট  : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৮

তেতাল্লিশ বছর পার করে চুয়াল্লিশ বছরে পা দিলো দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। ১ সেপ্টেম্বর ছিল দলটির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই চার যুগেরও অধিক সময়ে দলটির অর্জন-বিসর্জন নিয়ে নিকাশের সময় নিশ্চয় এসেছে। সাফল্য-ব্যর্থতার বাটখারায় বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে দলটির মূল্যায়ন করবেন। কেউ নানা সাফল্যের দিক তুলে ধরে বলতে চাইবেন, বিএনপি দেশে নতুন রাজনৈতিক ডাইমেনশন চালু করেছে, রাজনৈতিক তত্ত্ব দিয়েছে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। আবার বিপরীত মত পোষণের মানুষও রয়েছে। তারা বলবেন, প্রতিষ্ঠার পর বিএনপি দেশের রাজনীতিতে কোনো ইতিবাচক ধারা সুৃষ্টি করতে পারেনি, মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে পারেনি ইত্যাদি। কেউ কেউ আরো একটু বেড়ে বলবেন, বিএনপির রাজনীতি একটি অস্পষ্ট ধোঁয়াশাচ্ছন্ন গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খেয়ে চলেছে। আর বিএনপিবিরোধী মহলের মতে দলটি স্বাধীনতাবিরোধীদের লালন করতে গিয়ে স্বাকীয়তা হারিয়েছে।  এসবই বিতর্কের বিষয়। রেললাইন যেমন  সমান্তরাল বহে, কখনোই মিলিত হয় না, তেমনি এ রাজনৈতিক বিতর্কেরও কোনা সমাধান বা শেষ নেই। তবে ১৯৭৮ সএল প্রতিষ্ঠার পর দলটি একেবারেই কিছু করতে পারেনি, একথা বলা যাবে না। অনেক ইতিবাচক অর্জন রয়েছে দলটির। আবার জাতীয় ঐক্যের নামে স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলাতে গিয়ে তাদের হাতের পুতুলে পরিণত হওয়ার অভিযোগও এ মুহূর্তে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।  

তবে, দলটির চুয়াল্লিশ বছরে পদার্পনের মুহূর্তে যে প্রশ্নটি সবাইকে ভাবিত করছে, তাহলো দলটির বর্তমান হতচ্ছিরি দশা। এ কথা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না যে, প্রতিষ্ঠার পর বর্তমান সময়ের মতো এমন দুর্দশায় কখনোই পতিত হয়নি দলটি। বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে দলটির সামনে সমসাসঙ্কুল পরিস্থিতি এসেছে। তবে, সেসব কঠিন পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করে দলটি আবার সুসময়ে ফিরেও এসেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, নেতৃত্বের বলিষ্ঠতার গুণেই সেটা সম্ভব হয়েছে; বর্তমানে যার অভাব প্রকটভাবে দৃশ্যমান।

 

প্রতিষ্ঠার পর বিএনপি প্রথম সংকটে পড়ে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুর পর। তার আগে ১৯৭৯ সালে দেশের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী সদ্য গঠিত দল বিএনপির মধ্যে যে কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ ঘটে তা যেমন ছিল অনাকাক্সিক্ষত, তেমন ছিল নবাজাতক দলটির জন্য ক্ষতিকারক। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী- এ প্রশ্নে দ্বিধা-বিভক্ত ছিল দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এক গ্রুপ তৎকালীন সিনিয়র মন্ত্রী মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করতে আগ্রহী ছিলেন, অন্য গ্রুপটি শাহ আজিজুৃর রহমানকে ওই পদে বসাতে তৎপর ছিল। এ সময়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে যাদুমিয়া ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন এবং তিনদিনের মাথায় ১২ মার্চ  মৃত্যুবরণ করেন। মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার এ আকস্মিক মৃত্যু দলটিতে তার অনুসারী এবং প্রগতিশীল অংশটিকে কোণঠাসা করে ফেলে। এরফলে প্রধানমন্ত্রী পদে স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজুর রহমানের বসার পথ সুগম হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন সিনিয়র সম্পাদকের (বর্তমানে প্রয়াত) কাছে শুনেছি, জিয়াউর রহমান শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। নতুন দল গঠন এবং তার ঐক্য ধরে রাখার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীদের তিনি সাথে নিয়েছিলেন এটা সত্য। তবে, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে ওই ধরনের কাউকে বসাতে তিনি উৎসাহবোধ করেন নি। কিন্তু যাদু মিয়ার মৃত্যুর পর তিনি অনেকটা বাধ্য হয়েই তা করেছিলেন। কেননা, তখন দলে যাদু মিয়ার সমকক্ষ রাজনীতিবিদ কেউ ছিলেন না। তাছাড়া যাদু মিয়ার অনুপস্থিতিতে দলে প্রগতিশীল অংশটি মুরব্বিহীন হয়ে পড়ায় দক্ষিণপন্থী গ্রুপটি অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। যদিও রাজনীতির কুশলী খেলোয়াড় জিয়াউর রহমান দলে তার কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সে বিভক্তিকে আর বাড়তে দেন নি। 

কিন্তু ১৯৮১ সালের ৩০ মে তিনি নিহত হওয়ার পর দলটি পড়ে চরম সংকটে। কান্ডারিহীন নৌকার মতো অবস্থা হয় বিএনপির। সে সময় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ এমন মন্তব্যও করেছিলেন যে, ‘ক্ষমতার হালুয়া-রুটির’ বিনিময়ে গড়ে ওঠা বিএনপি বেশিদিন টিকবে না। কেউ কেউ আরো এক ধাপ এগিয়ে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের মদতে গড়ে উঠা কনভেনশন মুসলিম লীগের উদাহরণও টেনেছিলেন; যেটির অস্তিÍত্ব আইয়ুব খানের পতনের পরপরই বিলীন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পরও চার দশক ধরে দলটি ভালভাবেই টিকে আছে। শুধু তাই নয়, এই সময়ের মধ্যে দলটি নয় বছর স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছে, তিনবার সরকার গঠন করেছে। তবে এই সময়ের মধ্যে দলটিকে বারংবার সংকটের মধ্যে পড়তে হয়েছে। কোনো কোনো সময় বিএনপি আর টিকবে কীনা এমন প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।

জিয়া-উত্তর বিএনপি প্রথম সংকটে পড় ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাপতি এরশাদের ক্ষমতা দখলের পর। বৃদ্ধ ও অসুস্থ রাষ্টপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে এরশাদ সামরিক আইন জারি করে। সময়টা ছিল বিএনপির জন্য অত্যন্ত সংকটের। দলের অনেক বড় বড় নেতা জার্সি বদল করে যোগ দেন এরশাদের মন্ত্রিসভায়। ওই সময় দলের ঐক্য টিকিয়ে রাখতে নেতৃত্বে আসেন জিয়াউর রহমানের পত্নী খালেদা জিয়া। প্রথমে ভাইস-চেয়ারম্যান পরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে তিনি প্রায় বিধ্বস্ত বিএনপিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। সফলও হন। বাস্তব কারণেই তখন দলে তার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সাহস কারো না থাকলেও ষড়যন্ত্র থেমে ছিল না। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৮৩ সালে জিয়া কেবিনেটের তিন মন্ত্রী রিয়াজউদ্দিন আহমেদ ভোলা মিয়া, শামসুল হুদা চৌধুরী এবং ডা. এম এ মতিনের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ বেরিয়ে যায়। এরা কিছুদিন ব্র্যাকেটবন্দী বিএনপি হিসেবে চলার পর জাতীয় পার্টিতে লীন হয়। একই সময়ে দলের কয়েকজন প্রথম সারির নেতা এরশাদের মন্ত্রী হয়ে দলত্যাগ করেন। সেই দুঃসময়ে খালেদা জিয়া অত্যন্ত দৃঢ় হাতে দলের নেতৃত্বের স্টিয়ারিং ধরে রাখেন। দল আবার সোজা হয়ে দাঁড়ায়। স্বৈরশাসন অবসানের পর প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (১৯৯১) বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দলটি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়। 

বিএনপি সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খায় ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর। সেনা সমর্থিত ওই সরকারের মদতে দলটির একটি অংশ চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান নেয়। তারা মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দলে সংস্কার সাধনের স্লোগানের আড়ালে মূলত নেতৃত্বের আসন থেকে খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার চেষ্টায় রত হয়। দলের অনেক নেতা মান্নান ভূঁইয়ার পেছনে কাতারবন্দী হলেও তৃণমূল নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল থেকে প্রকিতকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করে। জেলে যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে দল থেকে বহিস্কার করে তদস্থলে স্থায়ী কমিটির সদস্য খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব মনোনীত করেন। তিনি নেত্রীর অনুপস্থিতিতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে সংকট মোকাবিলা করেন। কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনে সৃষ্ট ফাটল বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে মারাত্মকভাবে। 

মূলত বিএনপির আজ যে লেজেগোবরে অবস্থা তার গোড়া পত্তন হয়েছিল ওয়ান-ইলেভেনের সময়। তখনকার সৃষ্ট ঘা দলটির গা থেকে এখনও শুকায়নি। পরবর্তীতে দলটির নেতৃত্বের মধ্যে এক ধরনের সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়। পাশাপাশি নির্বাচনী জোটকে রাজনৈতিক জোটে পরিণত করে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীকে পথসঙ্গী করায় সচেতন মহলে বিএনপি সম্পর্কে সৃষ্টি হতে থাকে রিরূপ ধারণা। এক পর্যায়ে এটা অনুমিত হতে থাকে যে, বিএনপি জোটের নেতৃত্বদানকারী দল হলেও এর সিদ্ধান্তসমূহ আসতে থাকে জামায়াতে ইসলামীর কাছ থেকে। অনেকের মতে বিএনপি ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জন, তার আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, সবই করা হয়েছিল জামায়াতের পরামর্শে। এসব কারণে দেশের সচেতন নাগরিকগণ বিএনপি থেকে দূরে সরে যেতে থাকে এবং স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সঙ্গী হিসেবে বিদেশেও বিএনপির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়। এ সুযোগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যাপক প্রচার-প্রপাগেন্ডা চালিয়ে বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে প্রতিপন্ন করতে সক্ষম হয়।

 

এরপর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি একটি মামলায় দন্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে গেলে বিএনপি এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় সংকটে নিপতিত হয়। তখন থেকেই বিএনপি কার্যত নেতৃত্বহীনতায় ভূগতে থাকে। তড়িঘরি গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হলেও দলটি এখনও একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এ মুহূর্তে বিএনপির সবচেয়ে বড় সমস্যা সাংগঠনিক দুর্বলতা। এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে দলটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি। মূল দল এবং অঙ্গ সংগঠন সমূহের কেন্দ্রীয় থেকে জেলা কমিটি পর্যন্ত নানা উপদলে কর্মীরা বিভক্ত। বিভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রায়ই জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু তার আহ্বানে কেউ তেমন কর্ণপাত করেন বলে মনে হয় না। নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কোন্দল সব সময় লেগেই আছে। তাছাড়া কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি, যোগ্যতা না দেখে আর্থিক সক্ষমতাকে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হিসেবে নেওয়া এবং টাকার বিনিময়ে কমিটি ও পদ বিক্রির কারণে যোগ্য ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা বঞ্চনার ক্ষোভ মনে পুষে দলীয় কার্যক্রম থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও যোগ্যতা ও দলের জন্য অবদানকে বিবেচনায় না এনে তার আস্থাভাজন হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তিদের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্বে আনছেন। ফলে দলটির দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতারা দূরে সরে যাচ্ছেন। অতিসম্প্রতি এ কারণে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে যে গণপদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে, সেটাকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল অশনি সংকেত হিসেবেই দেখছেন। জেলা বিএনপির এই সংকট নিরসনের জন্য সিনিয়র নেতারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করলেও এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনো পদক্ষেপ তিনি নেন  নি। 

বিএনপির বর্তমান এই দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণর উপায় কী- জানতে চেয়েছিলাম বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ও মরহুম মশিয়ূর রহমান যাদু মিযার ঘনিষ্ঠ সহচর মো. শামসুল হকের কাছে। অশীতিপর এ রাজনীতিক বললেন, বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে প্রথমেই তাদেরকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে। না হলে দলটি দেশের প্রগতিশীল মানুষদের সমর্থন পাবে না। কেননা, যেখানে জামায়াত থাকবে, প্রগতিশীলরা সেখানে যাবে না। আর নেতৃত্বের যে দুর্বলতা রয়েছে, তা দূর করতে হলে তারেক রহমানকে দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে হবে। তাকে দেশের বাস্তবতা অনুধাবন করত হবে। কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে নেতৃত্ব কখনো সফল হতে পারে না- কথাটি মনে রাখতে হবে। নিবেদিতপ্রাণ এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঠিক মূল্যায়নই পারে বিএনপিকে চলমান সংকট থেকে বের করে আনতে। প্রবীণ রাজনীতিক মো. শামসুল হকের মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণের কোনো অবকাশ আছে বলে মনে হয় না।

লেখকঃ সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত