বিএনপির আমলে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি নৈমিত্তিক ঘটনা ছিল: কাদের
প্রকাশ: ৯ নভেম্বর ২০২১, ১৫:৪০ | আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯
বিএনপির আমলে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি নৈমিত্তিক ঘটনা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদের। তিনি বলেন, সেদিনের কথা বিএনপি ভুলে গেলেও জনগণ ভোলেনি। বিএনপির আমলে ৫ বছরে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল ৮ বার। তারা মূল্য কমাতে পারেনি।’
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে তার দফতরে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকলেও দেশে তারা দাম বাড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ গত ১৩ বছরে ৫ বার মূল্য বৃদ্ধি করলেও ৫ বার মূল্য হ্রাসও করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের ৭ দিনের মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় দেশ যেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, কিংবা দুর্ভিক্ষ চলছে এবং জনগণের পিঠ নাকি দেয়ালে ঠেকে গেছে। বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য দায়িত্বহীন রাজনৈতিক দলের হতাশার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়।’
‘জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকেনি, দেশের জনগণ এগিয়ে চলছে সম্মুখ পানে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বিএনপির।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির অন্ধ বিষোদগার আর মিথ্যাচারের রাজনীতি তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে করেছে চরম অনিশ্চিত ও বর্তমানকে করেছে ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। এ জন্যই বিএনপি আজ হতাশার সাগরে নিমজ্জিত বলে খড়-কুটো ধরে বাঁচার নিষ্ফল চেষ্টা করছে।’
মালিক-শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের যাত্রী ভোগান্তি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পুনর্নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা যাবে না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কেউ এটা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে আজ থেকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বিআরটিএ’র মোবাইলকোর্ট পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশব্যাপী অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কিছু কিছু গণমাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলেও দুই-একটি গণমাধ্যম বিরূপ ও অপমানজনক সমালোচনা করছে, যা প্রত্যাশিত নয়।’
কেউ কেউ পাতানো খেলা বলছে, অনেকেই আঁতাতের গন্ধও খুঁজে পেয়েছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামে একটি ভুয়া সংগঠনও বিষয়টি না জেনে, না বুঝে—যা নয় তা সমালোচনা করছে।’
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাহলে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে সেটা কী জনগণের জন্য কল্যাণকর হতো?’ মন্ত্রী মনে করেন, যাত্রী ভোগান্তি কমাতে অতীতের ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যমের মূল্যবান পরামর্শ আমাদের কাছে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি’র বাংলাদেশের নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশের নেতৃত্বে এডিবির একটি প্রতিনিধি দল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে এডিবির সহায়তায় যেসব প্রকল্পের কাজ চলমান সেগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত