বাড়ছে মুরগি ও ডিমের দাম
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৬ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:০২
আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। খুচরা বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি কিনতে কেজিতে গুণতে হচ্ছে ২১০ টাকা। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এটি পাওয়া যেত ১৯০-২০০ টাকায়। এদিকে বাজার ভেদে দেখা গেছে ডিমের দামের ভিন্নতা। বড় বাজারগুলোতে হালি ৪৮ টাকা আর এলাকা বা মহল্লার দোকানগুলোতে ৫০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজার সংলগ্ন মুরগির দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ২১০-২৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে অধিকাংশ দোকানগুলোতেই ব্রয়লারের দাম লিখে রাখা হয়েছে ২৩০ টাকা কেজি। এছাড়া কক মুরগি ৩৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা আর বড় কক মুরগি ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানায় মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে কারণ আড়ত থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পণ্য।
সরকারি সংস্থার ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৯০-২০০ টাকার মধ্যে। আর ডিমের দাম ছিল ৪৫ টাকা হালি। এখন এই দুটি পণ্যের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।
ঠিক কী কারণে দাম বাড়ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, দাম বাড়ানো ও কমানোর মূল কারিগর হচ্ছে কোম্পানিগুলো। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। হঠাৎ করেই তারা ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে মার্কেটে প্রভাব পড়ে। আবার হঠাৎ করেই কমিয়ে দেয় যার কারণে মার্কেটে দাম কমে। এই বিষয়গুলো সরকারকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমরা খামারিরা অসহায়। আমাদের হাতে কিছুই করার থাকে না।
এদিকে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে নিম্নআয়ের মানুষের প্রাণিজ আমিষের উৎস ব্রয়লার মুরগির দামও হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। রোজায় ব্রয়লার মুরগি দাম আরও বাড়লে জীবন ধারণ করা এক প্রকার দুরূহ হয়ে যাবে। তাই শবেবরাত, রোজাকে কেন্দ্র করে ব্রয়লার মুরগির বাজার যেন অস্থিতিশীল হয়ে না ওঠে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান ক্রেতারা। সাধারণ মানুষ সবসময় চায় দ্রব্যমূল্য দাম হাতের নাগালে থাকুক এবং ব্যবসায়ীরাও লাভ করুক।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত