বাগেরহাটে ব্যবসায়ীকে হয়রানীমূলক মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী
প্রকাশ: ৯ আগস্ট ২০২১, ১৯:২৯ | আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৫৯
বাগেরহাটের শরণখোলায় ব্যবসায়ীকে হয়রানীমূলক মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়ানো হয় ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম মোল্লাকে। এর পরেই এলাকাবাসী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে ফুসে উঠে এলাকাবাসী। অবিলম্বে তার মুক্তির দাবীতে মানবন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
ব্যবসায়ী আমিনুল মোল্লার স্ত্রী তানিয়া বেগম বলেন, আমরা ঢাকায় ব্যবসায়ী করি। ২০১৯ সালে তিন বিঘা জমি বন্ধক দেওয়ার কথা বলে শাফিয়া আক্তার দুলালী স্টাম্পে চুক্তির মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে দেড় ল¶ টাকা নেয়। কিন্তু জমি না দেওয়ায়, আমরা টাকা ফেরত চাই। রাজাপুর বাজারে বসে প্রকাশ্যে অনেক লোকজনের উপস্থিতিতে টাকা ফেরত চাওয়া হয়। এসময় তারা আমাদের গালি গালাজ করে। রাতেই শাফিয়া আক্তার দুলালী আমার স্বামীর নামে শাফিয়ার মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্যই এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়ানো হয়েছে আমার স্বামীকে। আমি অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।
রাজাপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক তালুকদার বলেন, এই মামলায় আমাকে দুই নম্বর সা¶ী করা হয়েছে। কিন্তু এই মামলা বা ঘটনার বিষয়ে আমি আদৌ কিছু জানিনা। আমি এই মামলা প্রত্যাহার চাই। এছাড়া এই মামলার বাদীদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগও রয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, শাফিয়া আক্তার দুলালী ও তার স্বামী মনির চকিদার এলাকার মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্ন সময় টাকা আদায় করে। পুলিশের সাথে সুসম্পর্ক রেখে এলাকায় নানা অপরাধ করে তারা। কিছু দিন আগে ব্যবসায়ী সেলিম জোমাদ্দারকে বাড়িতে আটকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করেছে। শাফিয়া আক্তার সাংবাদিক পরিচয়েও চাঁদাবাজী করে এলাকায়। শুধু সেলিম এবং আমিনুল নয় শাফিয়া এবং তার স্বামী এলাকার অনেককে জিম্মি করে টাকা নিয়েছে।
শাফিয়া আক্তার দুলালীর ভাই আজিজ মোল্লা, আব্দুস সালাম ও রশীদ মোল্লা বলেন, শাফিয়া আমাদের বোন হলেও এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এভাবে মানুষকে হয়রাণি করাটা আমরা সমর্থন করি না।
মামলার বাদী শাফিয়া আক্তার দুলালী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমরা আমিনুলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। সেই টাকা ফেরতও দিয়েছি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। যাতে নিরাপরাধ কেউ হয়রানীর স্বীকার না হয়। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত