বাগেরহাটে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগী বাড়ছে

  বাগেরহাট প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৩১ |  আপডেট  : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০৬

বাগেরহাটে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। গত এক মাসে ৬ হাজারের বেশি শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে ২৪ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসাধীন আছে ৫৮ জন শিশু। হঠাৎ হাসপাতালে রোগীর চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। হাসপাতালের ধারণক্ষমতার তিন থেকে চার গুণ রোগী ভর্তি হওয়ায় শয্যা সংকটও দেখা দিয়েছে। ফলে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।

কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড থেকে সাত মাসের শিশু সন্তান সিয়ামকে নিয়ে হাসপাতালে আসা হেলেনা বেগম জানান, পাঁচ দিন আগে সর্দি-কাশিতে বাচ্চা আক্রান্ত হলে স্থানীয় ডাক্তারদের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে খাওয়াই। কিন্তু জ্বর না কমায় বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) শিশুকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।  

৫ মাস বয়সী আছিয়ার বাবা জানান, চারদিন আগে ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার জ্বর ও ঠান্ডা ছিলো। পরে জানতে পারি মেয়ের নিউমোনিয়া হয়েছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত একাধিক নার্স জানান, রোগীদের চাপ অনেক বেশি।  মেঝে ও বারান্দায়ও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। কষ্ট হলেও আমরা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। রোগীর পাশাপাশি তাদের স্বজনদের চাপও বেশি। ফলে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিহান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন, হওয়ায় বাচ্চারা দ্রুত ঘেমে যায়। ওই ঘাম থেকে সংক্রমণটা হয় সবচেয়ে বেশি।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মিরাজুল করীম বলেন, শিশু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদেরকে বেগ পেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি শিশুদের প্রতি বাড়তি যতেœর আহ্বান জানান তিনি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত