বাগেরহাটের বিএসসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশতবর্ষী গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ 

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩ আগস্ট ২০২১, ১৯:৩৩ |  আপডেট  : ২ মে ২০২৪, ০৯:০৯

লকডাউনের সুযোগে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুর সায়েড়া চুনখোলা (বিএসসি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশতবর্ষী গাছ কেটে আসবাবপত্র বানানোর নামে আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষিক ঝিমি রানী মন্ডলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের গাছ কাটার বিধান সম্বলিত পরিপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ  থাকলেও তার কোন নিয়ম নীতি না মেনেই ভ‚য়া রেজুলেশনের কথা উল্লেখ করে গাছ গুলো কেটে আত্মসাতের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দ অভিযোগ করেন। অধিকাংশ সময়ে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন এমনই অভিযোগ অনেক এলাকাবাসীর। বিদ্যালয় সংলগ্ন অভিভাবকরা হিন্দু অধ্যূষিত সংখ্যালঘু হওয়ায় তারা ক্ষোভে ফেটে পড়লেও অজানা আতঙ্কে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এমনকি তাদের নাম পরিচয় পর্যন্ত গোপন রাখতে অনুরোধ করেছেন। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে লকডাউনের ফাঁকে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে অর্ধশত বছরের পুরাতন ডজন খানেক গাছগুলো কেটে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জড়ো করা হয়েছে। এগুলো বিক্রি করা হবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এলাকার মানুষ ওই প্রধান শিক্ষিকার ভয়ে তটস্থ থাকায় নামপরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে প্রধান শিক্ষকার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের নিকট একাধিক অভিযোগ করেন। ভিতরে ভিতরে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা ফুসছে। তাদের লাগানো গাছ গুলো নতুন প্রধান শিক্ষকা এসে কেটে ফেলায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা বিভিন্ন স্থানে নালিশ জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন। 

এ ক্ষেত্রে বিএসসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ঝিমি রানী মন্ডল জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ে এডহক কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এর পূর্বের কমিটি থাকতে একটি রেজুলেশন করে গাছ গুলো কাটার অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। 

এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনার পর্ষদের বর্তমান কমিটির সভাপতি বাগেরহাট পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর তানিয়া খাতুন জানান, তিনি এই গাছ কাটার ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কিন্তু এডক কমিটির পূর্বের কমিটির সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি থাকতে ২/৩ টি গাছ কেটে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র বানানোর অনুমোদন নিয়েছিলেন। কিন্তু কি পরিমান গাছ কাটা হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেন নি।  

এ ব্যাপারে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম জানান, উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আর গাছ গুলো যেহেতু কাটা হয়েছে সেহেতু বন কর্মকর্তার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে নিয়ম অনুযায়ী নিলাম কমিটি করে গাছ গুলো বিক্রি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত