বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলতে পারে ২০২৬ সাল পর্যন্ত
প্রকাশ: ২ আগস্ট ২০২২, ১৫:২৩ | আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭
বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এরই মধ্যে বড় বড় শহরগুলোতে নিয়ম করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার (লোডশেডিং) পদক্ষেপ নিয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। ব্লুমবার্গ জানায়, সম্প্রতি বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিদিন বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে ২০২৬ সাল পর্যন্ত এই ভোগান্তি বাংলাদেশকে পোহাতে হবে।
সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বরাদ দিয়ে ব্লুমবার্গ জানায়, চলতি বছরের জুনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো (বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত) জ্বালানি তেলের মূল্য অস্থিতিশীল হওয়ায় তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন তারা দীর্ঘমেয়াদি যোগানের জন্য বিকল্প উৎসের অনুসন্ধান করছে। তবে গ্যাস উৎপাদনকারী কাতার সংকেত দিয়েছে যে তারা শুধু চুক্তি হওয়া দেশগুলোর চাহিদা পূরণ করবে। তাও ২০২৬ সালের পর থেকে।
জানা যায়, বিকল্প উৎস হিসেবে কাতারও এখন কোনো দেশকে ২০২৬ সালের মধ্যে কোনো জ্বালানি সরবরাহ করবে না। এটা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-সহ দক্ষিণ এশিয়ায় এক ধরনের চাপ তৈরি করেছে। এদিকে, ইউরোপে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক বাজারেও। আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে বেড়েছে এলএনজি গ্যাসের দাম।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান,আমরা কাতারকে রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু দেশটির সরকার আমাদের জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তা (রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানো) সম্ভব নয়।
এদিকে, বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বাড়তে থাকা এবং খোলা বাজার থেকে এলএনজি কেনা বন্ধ করায় বাংলাদেশে একদিকে যেমন ফিরে এসেছে লোডশেডিং, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যেও লোকসান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্লুমবার্গ এনইএফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এ বছর স্পট ভিত্তিতে প্রায় ৩০ শতাংশ এলএনজি আমদানি করেছে; গত বছর যা ছিল ৪০ শতাংশের বেশি। জ্বালানির ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে দেশের রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আইএমএফসহ ঋণদাতাদের কাছ থেকে সহায়তা চাইছে বাংলাদেশ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত