বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতার সবচেয়ে বড় শক্তি: কটাক্ষ কঙ্গনার
প্রকাশ: ৩ মে ২০২১, ১০:৫৮ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৯
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। অর্ধেকের বেশি ভোট গণনার পর আভাস পাওয়া যাচ্ছে, প্রদত্ত ভোটের ৫০ শতাংশ এই দলের ঝুলিতেই পড়েছে। সে হিসাবে তৃণমূল এবার বামফ্রন্টের রেকর্ড স্পর্শ করতে চলেছে বলেই ধরে নেওয়া যায়। ১৯৮৭ সালের নির্বাচনে বামফ্রন্ট ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল।
এ অবস্থায় অনেকেই মমতাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরুর পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আজ রোববার সন্ধ্যায় এক টুইট বার্তায় মোদি এ অভিনন্দন জানান। কিন্তু বলিউড অভিনেত্রী ও বিজেপির উগ্র সমর্থক কঙ্গনা রনৌত কোনোভাবেই তৃণমূলের এগিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না। বরং তৃণমূল তথা মমতার জয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে কটাক্ষ করলেন কঙ্গনা।
এই বিজয়ের পেছনে কঙ্গনা রনৌত সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে দায়ী করেছেন বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গাদের। কঙ্গনা রবিবার দুপুরে টুইটারে একটি পোস্টে লেখেন, ‘বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতার সবচেয়ে বড় শক্তি। যা চলছে, তাতে হিন্দুরা আর সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বাঙালি মুসলিমরা বেশি দারিদ্র্য আর সবচেয়ে দুরবস্থায় জীবন যাপন করে। ভালো, আরেকটি কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।’
এই টুইট পোস্টের নিচে ১৯ হাজার ‘লাইক’ পড়েছে। আর টুইটটি রিটুইট করা হয়েছে সাড়ে চার হাজারের বেশিবার। তবে অসংখ্য টুইটার ব্যবহারকারী কঙ্গনার এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘এভাবে জোর করে গায়ে পড়ে বিজয়ীর অযৌক্তিক সমালোচনা করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পারবেন না। তাতে আরও বেশি করে আপনাদের অসহায়ত্ব ধরা পড়ে।’
মমতার জয় নিয়ে আরও দুটি টুইট করেছেন কঙ্গনা। সেখানে তিনি বাংলার উন্নয়নে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠা নন্দীগ্রামে জয় না পেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এগিয়ে চলেছে বিজয়ের দিকে। রোববার সকালে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পরই ফলাফলের খবর আসতে থাকে ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে। অর্ধেকের বেশি ভোট গণনার পর আভাস পাওয়া যাচ্ছে, প্রদত্ত ভোটের ৫০ শতাংশ এই দলের ঝুলিতেই পড়েছে।
সে হিসাবে তৃণমূল এবার বামফ্রন্টের রেকর্ড স্পর্শ করতে চলেছে বলেই ধরে নেওয়া যায়। ১৯৮৭ সালের নির্বাচনে বামফ্রন্ট ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল।
বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনায় থাকার ব্যাপারে নামডাক আছে পদ্মশ্রী ও তিনটি জাতীয় পুরস্কারজয়ী কঙ্গনার। লকডাউনে ভারতজুড়ে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি থমকে গেলেও, কঙ্গনার ঠোঁট সচল। কটাক্ষের সুরে বাঁধছেন ‘শত্রু’কে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুদিন পরপরই তাই কঙ্গনার ‘নীলবাক্যে’ বিস্ফোরণ ঘটে। বলিউড তো আছেই, ভারতের এমন কোনো বিষয় নেই, যা নিয়ে এই তারকা তির্যক মন্তব্য করেননি, তিনি কঙ্গনা রনৌত। সমকালীন আন্দোলন, রাজনীতি, মাদক থেকে শুরু করে কৃষকের অধিকার সব বিষয়ে তাঁর মন্তব্য করা চাই–ই চাই। বিশেষ করে টুইটারে ভিডিও বার্তা দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন প্রায়ই। গত বছরের অক্টোবর মাসে ভারতের কৃষি বিল নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে পড়েছিলেন কঙ্গনা। কৃষি বিলের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর জন্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন রমেশ নায়েক নামের এক আইনজীবী। নির্বাচন নিয়েও তাঁর বেফাঁস মন্তব্য চলছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত