বস্ত্রশিল্পে অবদান রেখে চলেছে ‘নান্নু স্পিনিং মিলস লিমিটেড'

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০৯ |  আপডেট  : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৫

ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে ধরে নরসিংদীর দিকে এগোলে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা-গাওছিয়া ফ্লাইওভারের একটু আগে ডানদিকে চলে গেছে একটি আঞ্চলিক সড়ক। দু’পাশে নানা রকমের ছোট-বড় কারখানা। মাঝে মাঝে সবুজ ধানক্ষেত। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার এগোলে চোখে পড়বে একটি বিশাল কারখানা শেড। সামনে প্রশস্ত গেট। ওপরে বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘নান্নু স্পিনিং মিলস লিমিটেড'। উর্দি পরা নিরাপত্তা প্রহরী দন্ডায়মান। গেটের সামনে আমাদের গাড়ি যেতেই প্রহরী কয়েকজন এগিয়ে এলো। জানতে চাইল কার কাছে যাবো। এমডি সাহেবের অতিথি আমরা- পরিচয় দিতেই বিশাল গেটের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে গেল। প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল বা দিকে একটি খোলা চত্বর। পরে জানা গেল কারখানার ভেতরে বাগান করার জন্য কাজ চলছে। বেশ খানিকটা এগিয়ে ডান দিকে ঘুরে থামল আমাদের মাইক্রোবাস। কারখানা ও অফিসের মূল ভবনের সামনে এলাম আমরা। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও বি এম শামীম আমাদের অভ্যর্থনা জানিয়ে ভেতরে নিয়ে গেলেন। লিফটে চলে এলাম সপ্তম তলায়। না, সাধারণ সাত তলা নয়। এখানে দুটি ফ্লোরকে একত্র করে নির্মিত হয়েছে একটি ফ্লোর। কারখানার মেশিনারী স্থাপন এবং উৎপাদন পরিবেশকে সুষ্ঠু করার জন্য এ ব্যবস্থা। সে হিসেবে আমরা আসলে চলে এসেছি চৌদ্দ তলায়। অফিসের সামনে একটি বিশাল খোলা চত্বর। সেখানে দাঁড়ালে যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু সবুজের সমারোহ। মাঝে মাঝে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানার শেড দেখা যায়। এলাকাটি ক্রমেই শিল্প এলাকায় রূপ নিচ্ছে- জানালেন পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। পাশের একটি রিসোর্টের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হলো। উঁচু থেকে দেখতে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। চারদিকের পরিবেশ চোখ জুড়িয়ে দেয়। আমাদের রিপোর্টার ফাহমিদার ক্যামেরায় তখন একের পর এক ক্লিক ক্লিক শব্দ। 

 

 

অফিসে ঢুকতেই স্ব-হাস্যে অভ্যর্থনা জানালেন নান্নু স্পিনিং মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শোয়েব। নান্নু গ্রুপেরও কর্ণধার তিনি। একজন তরুণ সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। পিতার ব্যবসাকে বিস্তৃত করছেন দক্ষ হাতে। সুসজ্জিত অফিস কক্ষে বসে চা খেতে খেতে আলাপ হলো তার সঙ্গে। জানালেন তার ভাবনা-চিন্তার কথা। নিজের শিল্প-ব্যবসায় শুধু নয়, দেশের শিল্পায়ন এবং বানিজ্য বিস্তারে কী কী পদক্ষেপ নেয়া দরকার তাও বললেন এই তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা। 
 
ষাট বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে নান্নু স্পিনিং মিলের স্থাপনা। দু’টি ইউনিটে মোট প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করে এখানে। কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন কয়েক শ'। তিন শিফটে কাজ হয় বলে বিরতিহীনভাবে চলে উৎপাদন। তৃতীয় আরেকটি ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ওই ইউনিটটি চালু হলে নান্নু স্পিনিং মিল হবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বস্ত্রশিল্পের অন্যতম একটি। শ্রমিক-কর্মচারীরা এখানে কাজ করে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্ত করেছে মিলের ভেতরেই। তিনবেলা খাবার ও বিকালের টিফিনের জন্য প্রতি মাসে শ্রমিকদের  দিতে হয় এক হাজার টাকা। আর কর্মকর্তারা দেন প্রতি মাসে আড়াই হাজার টাকা। এক পাত্রে রান্না হয় সবার খাবার। মাসে একবার আয়োজন করা হয় উন্নত খাবারের। তাছাড়া বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ উৎসবের দিনগুলোতেও আয়োজন হয় বিশেষ খাবারের। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রয়েছে আবাসিক সুবিধা। বিনা ভাড়ায় তারা আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বাসায় থাকতে পারেন। স্থানীয় শ্রমিক-কর্মচারীরা একবার কারখানায় প্রবেশ করলে সারাদিনে তাদের আর বাইরে বেরোনোর প্রয়োজন পড়ে না। ভালো কাজের জন্য রয়েছে মাসিক এবং বার্ষিক পুরস্কারের ব্যবস্থা। 

মধ্যাহ্নভোজের পর পুরো কারখানাটি আমাদেরকে ঘুরিয়ে দেখালেন পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও বি এম শামীম। অত্যাধুনিক মেশিনপত্রে সজ্জিত এই কারখানাটি না দেখলে বোঝার উপায় নেই বাংলাদেশ শিল্পখাতে কতটা অগ্রগতি লাভ করেছে। সুশৃঙ্খল নিয়ম-কানুনের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে কারখানাটি। রয়েছে সর্বাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কারখানার প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে অগ্নি-নির্বাপন ব্যবস্থা। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২১ জনের প্রশিক্ষিত ফায়ার ফাইটার দিয়ে সজ্জিত অগ্নিনির্বাপক দল সদা প্রস্তুত যে-কোনো পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। এখানে ৭ থেকে ১২০ কাউন্টের সুতা উৎপাদিত হয়; যা দিয়ে তৈরি হয় নানা মানের কাপড়। ৮০ থেকে ১২০ কাউন্টের যে সুতাএখানে তৈরি হয়, তা দিয়ে তৈরি হয় অত্যন্ত মিহি বস্ত্র। এটি একটি শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শোয়েব ২০১৭ সালে সরকার ঘোষিত সিআইপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে উক্ত স্পিনিং মিলে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সেখান হতে এ শিল্প প্রতিষ্ঠান নতুন করে ঘুরে দাড়ায়।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শোয়েবের সাথে কথা হলো অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে। জানালেন তার ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা। আলাপচারিতায় জানা গেল নিম্নোক্ত বিষয়াবলী—

গ্রামনগর বার্তা : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কোন বিষয় আপনি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন? 

বি এম শোয়েব : আমাদের দেশকে যদি উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে শিল্পোন্নয়নের বিকল্প নেই। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ঘটানো গেলে একদিকে দেশের বেকারত্ব যেমন কমবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে প্রচুর; যা আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে।

গ্রামনগর বার্তাঃ শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

বি এম শোয়েবঃ  প্রথমত শিল্পবান্ধব পরিকল্পনা নিতে হবে সরকারকে। সহজ শর্তে সহজ লভ্য করতে হবে ব্যাংক ঋণ। আমি বর্তমান সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ তিনি ব্যবসায়ী-শিল্পমালিকদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ করেছেন। ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার ফলে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা এখন তাদের শিল্প-বানিজ্য প্রসারে অনেকটাই স্বস্তিকর অবস্থায় কাজ করতে পারছেন। একই সঙ্গে আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই, করোনা মহামারীকালে দেশের শিল্পখাতকে প্রণোদনা দিয়ে আগলে রাখার জন্য।

গ্রামনগর বার্তাঃ বলা হয়ে থাকে, আমাদের দেশে শ্রমিক অসন্তোষ শিল্প-কারখানায় সুষ্ঠু উৎপাদন পরিবেশের অন্তরায়। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?

বি এম শোয়েবঃ আসলে শিল্পখাতে অগ্রগতি বলেন বা সাফল্য, এর অনেকটাই নির্ভর করে মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের ওপর। এ দু' পক্ষের মধ্যে যদি সুসম্পর্ক থাকে, তাহলে শিল্পাঙ্গনে অসন্তোষ বা অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে না। এখানে দায়িত্ব রয়েছে দু' পক্ষেরই। মালিকদের বুঝতে হবে শ্রমিকদের সমস্যা। তাদের ন্যায্য পাওনা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। আমাদের  মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শ্রমিকের শরীরের ঘাম শুকিয়ে যাবার আগেই তার মজুরি পরিশোধ করো'। এর দ্বারা তিনি শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য পাওনা আদায়ের গুরুত্বকে বুঝিয়েছেন। পাশাপাশি যারা কাজ করেন, তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করার। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষা এবং এর যাতে ক্ষতি না হয়, সেভাবে কাজ করাই শ্রমিকদের কর্তব্য। এর মাঝখানে যারা আছেন অর্থাৎ কর্মকর্তারা, তারা মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন। মালিক তো সরাসরি শ্রমিকদের ডীল করেন না। শিল্প কারখানায় উৎপাদনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার অন্যতম শর্ত হলোঃ মালিক-কর্মচারীদের পারস্পরিক সম্পর্ক। এ ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রয়েছে। আমি আমার এ ছোট্ট কারখানার কথা বলতে পারি। এখানে মালিক-শ্রমিক-কর্মকর্তার মধ্যে কোনো ভেদরেখা নেই। আমি মনে করি একজন মালিকও একজন শ্রমিক। তাঁকেও কাজ করতে হয়। হতে পারে সে কাজের ক্ষেত্রটা ভিন্ন। 

গ্রামনগর বার্তাঃ জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বস্ত্রশিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ সেক্টরকে আরো সাবলীল করতে হলে কী কী পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে আপনি মনে করেন? 

বি এম শোয়েবঃ এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, আজ আমাদের অর্থনীতি যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, এর পেছনে বস্ত্রখাতের রয়েছে অসামান্য অবদান। এ খাতকে আরো এগিয়ে নিতে হলে সরকারকে একটি মহাপরিকল্পনা নিতে হবে। দেশের টাকা দেশে রাখার জন্য শিল্পায়নের শর্তসমূহ সহজ করতে হবে। স্বল্প সুদে শিল্প ঋণ নিশ্চিত করতে হবে। শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে হলে এখন নানা দফতরে ছুটাছুটি করতে হয়। সেজন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ অত্যন্ত জরুরি। যাতে একজন শিল্পোদ্যোক্তা সময় ও অর্থের অপচয় ব্যতিরেকেই তার কাঙ্ক্ষিত কাজটি করিয়ে নিতে পারেন। এতে উদ্যোক্তাদের হয়রানিও কমবে। 

গ্রামনগর বার্তাঃ একজন শিল্পপতি-ব্যবসায়ীর সামাজিক দায়িত্ব নিয়ে কিছু বলুন।

বিএম শোয়েবঃ শিল্পপতি বলুন কিংবা ব্যবসায়ী, তারাও তো সামাজেরই অংশ। সমাজের প্রতি তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করা, দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখা বা গড়ে তোলার মাধ্যমে তারা সেটা করতে পারেন। বিশেষ করে আমাদের ইসলাম ধর্মে সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করার জন্য যে সুন্দর সিস্টেম করে দেয়া হয়েছে, সেটা অনুসরণ করা উচিত। আমি মনে করি এদেশের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি ইসলাম নির্দেশিত পন্থায় সঠিকভাবে প্রতি বছর জাকাত আদায় করেন, তাহলে আমাদের দেশে দারিদ্র্য থাকবে না। আমি বিশ্বাস করি, দানে সম্পদ কমে না, বাড়ে। 

গ্রামনগর বার্তাঃ  আমরা জানি, আপনার প্রয়াত পিতা আলহাজ্ব নান্নু বেপারী মহোদয় বেশ কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়েছেন; শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সামাজিক প্রতিষ্ঠান, দরিদ্র মানুষদের কল্যাণে নানা রকম কাজ করেছেন। আপনি তাঁর সে কার্যক্রম অব্যাহত রাখছেন কি?

বি এম শোয়েবঃ আমি মনেকরি আমার সামাজিক, অর্থনৈতিক কাজের অনুপ্রেরণা আমার প্রয়াত পিতা। ছোট থেকেই আমি আমার পিতাকে দেখেছি দরিদ্র এবং বিপদগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। তিনি অনেক স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা-মসজিদ, পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছেন, সহযোগিতা করেছেন। ‘আলহাজ্ব নান্নু বেপারী ফাউন্ডেশন’ নামে আমাদের একটি সংগঠন আছে। আমরা এই সংগঠনের মাধ্যমে জনকল্যাণমূলক কাজ করে চলেছি। দুঃস্থ মানুষদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহযোগিতা করা, দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সাহায্য করা, স্বল্প পুঁজির মানুষদের কর্মসংস্থানে সহযোগিতা করা, এলাকার রাস্তা-ঘাট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহযোগিতা করা আমাদের কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত। ভবিষ্যতে আমরা এসব কর্মসূচি আরো প্রসারিত করবো। 

গ্রামনগর বার্তাঃ পরিশেষে দেশবাসীর উদ্দেশে কিছু বলুন।

বি এম শোয়েবঃ  আমার মতো একজন ক্ষুদ্র মানুষ দেশবাসীর উদ্দেশে কী বলব? তবে আমি বলতে চাই, এ দেশটাকে আমাদের সবার ভালোবাসতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে এই স্বাধীন-সার্বভৌম দেশটি দিয়ে গেছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল একটি শোষণ-বঞ্চনাহীন সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তাঁর সে আজীবন লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে যার যার অবস্থান  থেকে ভূমিকা রাখা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

গ্রামনগর বার্তাঃ আমাদেরকে মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

বিএম শোয়েবঃ গ্রামনগর বার্তাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। একই সঙ্গে আমি গ্রামনগর বার্তার সার্বিক অগ্রগতি ও সাফল্য কামনা করি।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত