বন্যাকবলিত এলাকার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৮ নির্দেশনা
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩৫ | আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০২
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু, মেডিকেল টিম গঠনসহ আটটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের পরিচালক, ওই দুই বিভাগের সব সিভিল সার্জনসহ কর্মকর্তাদেরকে এই নির্দেশনা দেন অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদক্ষেপ
১. বন্যাকবলিত এলাকার সব সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রাখতে হবে।
২. প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মেডিকেল টিম গঠন করে দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে হবে।
৩. বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি ডায়রিয়া, সর্প দংশনসহ বন্যা সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য যথোপযুক্ত প্রস্তুতি রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতে হবে।
৪. বন্যাদুর্গত এলাকার হাসপাতালে যন্ত্রপাতিগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
৫. জরুরি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী মজুত এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীসহ অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে।
৬. বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর সব চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।
৭. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য বন্যাদুর্গত এলাকার সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
৮. বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় ও যোগাযোগ রাখতে হবে।
এদিকে, বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসক-নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত