‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কুমিল্লার জোড়া খুনের প্রধান আসামি
প্রকাশ: ২ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:১৩ | আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম (২৮) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
বুধবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার চাঁনপুরের গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় জেলা গোয়েন্দা ও থানা পুলিশের সঙ্গে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
শাহআলম নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার জানু মিয়া ছেলে। এ সময় পুলিশ তার হাতে থাকা ৭.৬৫ মডেলের একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক [এসআই] পরিমল দাস।
তিনি বলেন, বুধবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ধরতে জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করলে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই পিস্তল হাতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে শাহ আলম বলে শনাক্ত করে।
আহত শাহআলমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মামলার ৩ নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়া ছেলে মো. সাব্বির রহমান ২৮ ও মামলার ৫ নম্বর আসামি নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন [৩২] পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ওই দুইজন। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত