বগুড়া-৩ জাপা এমপি নুরুল তালুকদারের ৪ বিঘা জমির দাম মাত্র ৪ হাজার টাকা
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৩১ | আপডেট : ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:২৮
বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) নির্বাচনী আসনের দশম ও একাদশ [বর্তমান] সংসদের এমপি জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদারের নগদ টাকা ও ব্যাংক ব্যালেন্স সহ সব খাতে আয় বেড়েছে, সেই সাথে হয়েছে বাড়ী-গাড়ী। কিন্তু ১০ বছরেও বৃদ্ধি পায়নি তাঁর কৃষি ও অকৃষি জমি এবং স্ত্রী ও নির্ভরশীলের নামে থাকা স্বর্ণালংকারের দাম। তবে তাঁর নির্ভরশীলের ব্যাংক ব্যালেন্স ১২ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা। দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষন করে মিলেছে এমন তথ্য। দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় কৃষি খাত থেকে আয় ছিল ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে ৭২ হাজার দুইশ’ টাকা। তাঁর ৪ বিঘা কৃষি জমি অর্জনকালিন (কোন সালে সেটা উল্লেখ নাই) দাম মাত্র ৪ হাজার টাকা। বর্তমানেও একই দাম রয়েছে। এ যেন শায়েস্তা খাঁর আমল। আবার যৌথ নামে থাকা এক বিঘা কৃষি জমির দাম ৪ হাজার টাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীর নামে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকারের অর্জনকালিন [সাল উল্লেখ নাই]দাম ৭৫ হাজার টাকা বর্তমানেও বহাল রয়েছে। নির্ভরশীলের স্বর্ণালংকার ৫ ভরি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১০ ভরি। কিন্তু পুর্বের ৫ ভরির মত ১০ ভরির দামও উল্লেখ করেছেন ৫০ হাজার টাকা। দশদ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় বাড়ি [ফ্লাট] ও গাড়ী না থাকলেও একাদশ ও দ্বাদশের হলফনামায় ৩৫ লাখ টাকা দামের জীপ গাড়ী ও ৪২ লাখ টাকায় দুই হাজার একশ’ বর্গফুটের ফ্লাট রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুই হলফনামায় আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ঋন দেখানো হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। দশম নির্বাচনের তার নগদ ও ব্যাংকে টাকা ছিল দুই লাখ টাকা। একাদশে এসে নগদ টাকা ১৫ লাখ টাকা হলেও ব্যাংকে ছিল সেই এক লাখ টাকাই। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নগদ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৫ লাখ এবং ব্যাংক ব্যালেন্স এক লাখ টাকা থেকে এক লাফে হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। ১০ বছরে তাঁর আসবাবপত্র বেড়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার। আইন পেশা থেকে বছরে আয় ১০ বছর আগে ছিল এক লাখ ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে হয়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু নিজ নামের ৪ বিঘা কৃষি ও ৪ শতক অকৃষি এবং যৌথ নামের এক বিঘা কৃষি জমির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে হলফনামায়। এদিকে আয় বৃদ্ধি, নগদ টাকা ও ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়লেও তিনি নির্বাচনের খরচ নির্বাহ করবেন আগের মত ভাই-বোন, ভগ্নিপতি ও জামাইয়ের নিকট থেকে ধার ও সহযোগীতা করার টাকায়। এনিয়ে সংসদীয় এলাকার সচেতন মহলে চলছে হাসি ঠাট্টা।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত