চিকিৎসক সঙ্কট প্রকট  শীগগির চালু হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত

প্রস্তুত পঞ্চগড়ের  ৮ তালা ভবনের ১৫০ আসন শয্যার হাসপাতাল

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৬ |  আপডেট  : ১১ মে ২০২৪, ০৫:৫৩

পঞ্চগড়ে প্রস্তুত ২৫০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতাল। গনপূর্ত বিভাগের তত্বাবধানে নির্মিত ১৫০ আসনের সম্প্রসারিত ভবনটির কাজ শেষ হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি সহ চারটি লিফট নিয়ে নির্মিত হয়েছে ৯ তালা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালটি। এক মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় গনপূর্ত বিভাগ।

বর্তমান ১০০ শয্যার পুরনো হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা সেবা। এতে চিকিৎসা সেবায় চরম দূর্ভোগ রয়েছে। প্রায় ১২ লাখ জনসংখ্যা অধ্যষিত জেলা পঞ্চগড়। জেলার চিকিৎসা সেবায় একমাত্র ভরসা এ হাসপাতালটি।

জেলাটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে বেড়েছে চিকিৎসার চাহিদা। সড়ক দূর্ঘটনা, অগ্নিদগ্ধ সহ গুরুত্বর রোগিরা এখানে চিকিৎসা নিতে না পারায় তাদের যেতে হয় রংপুর,দিনাজপুর বা ঠাকুরগাঁওয়ে।ফলে দরিদ্র  অস্বচ্ছল পরিবারের রোগিরা পড়ে বিড়ম্বনায়।

মানুষের দৌরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে সরকার প্রায় পাঁচ বছর আগে ১০০ শয্যার হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করতে আরো একটি ১৫০ আসনের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। নব নির্মিত হাসপাতালটিতে রয়েছে পূরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের পাশাপাশি শিশু ওয়াড। থাকবে অত্যধুনিক চিকিঃসা ব্যবস্থা । চালু হয়েছে এক্্ররে সুবিধা।

আধুনিক সদর হাসপাতালের পিছনে এভবনটির কাজ শুরু হয়। ৯ তালা বিশিষ্ট এই ভবনের নিমার্ন ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা। যার ৮ তালা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

গনপূর্ত বিভাগ পঞ্চগড় এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) মো. মতিয়ার রহমান বলেন‘  ভবনটির ৮ তালা পর্যন্ত নিমার্ন সহ যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে। আশা রাখি আমরা আর এক মাসের মধ্যে এটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করবো।

এদিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখন শুধু মাত্র লিফট সংযোজনের কাজ চলছে’ যা শেষের পথে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, চিকিৎসকের পাশাপাশি অন্যান্য জনবল লাগবে ব্যাপক সংখ্যাক। যদি এটি চালু হয় খুব দ্রুত এসব চিকিৎসক ও কর্মচারি নিয়োগ দিতে হবে। কারণ রোগি বৃদ্ধির সাথে সাথে চিকিৎসা সহ অন্যান্য সেবায় চাপ বৃদ্ধি পাবে। পরিছন্নতাকর্মী থাকতে হবে সার্বক্ষনিক।

সদর আধুনিক হাসপাতালে ৩৬ জন জন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের মধ্যে শূণ্য পদ রয়েছে ২৪টি। এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণীর ১৪৪ জনের কর্মকর্তার মধ্যে শূন্য রয়েছে, ১৬ জন ও তৃতীয় শ্রেণী কর্মকতার ৩৪টির মধ্যে শূণ্য পদ রযেছে ১২টি।পাশাপশি চতুর্ত শ্রেনীর কর্মচারীর পদশূণ্য রয়েছে ৫টি।

হাসপাতাল সূত্র মতে, বর্তমানে ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে চিকিৎসক সঙ্কট প্রকট। ৩ জন বিশেষজ্ঞ ছাড়া সব গুলি পদ শূণ্য। কর্মরত রয়েছে,সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) একজন,  সিনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) একজন, জুনিয়র কনসালটন্টে (এ্যানেসথেসিয়া) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলোজিষ্ট)একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট(রোডিওলোজিষ্ট) একজন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার একজন ও ডেন্টাল সার্জন একজন।

শূন্য রয়েছে , ২৪টি। যেমন; সিনিয়র কনসালটেন্ট  (মেডিসিন) সিনিয়র কনসারটেন্ট (চর্ম ওযৌন), সিনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থপেডিক্্র) , সিনিয়র কনসালটেন্ট  (চক্ষু) সিনিয়র কনসালটেন্ট  (গাইনী) জুনিয়র কসালটেন্ট (ইএনডি), জুনিয়র কনসালটেন্ট  (মেডিসিন), সিনিয়র কনসালটেন্ট  (শিশু) সিনিয়র কনসালটেন্ট  (ডেন্টাল) সিনিয়র কনসালটেন্ট  (সার্জারী) সিনিয়র কনসালটেন্ট  (অর্থপেডিক্্র) রেডিওলোজিষ্ট ,প্যাথলোজিষ্ট ডেন্টাল সার্জন,মেডিকেল অফিসার ,জরুরী মেডিকেল অফিসার মেডিকেল অফিসার  ভেষজ) ও সহকারি সার্জন। এসব পদের সবগুলিতে একজন করে শূণ্য রয়েছে দীর্ঘদিন।শূণ্যপদে জট থাকায়  পঞ্চগড়ে চিকিৎসা সেবায় মানুষের নানা ভাবে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জেলার আটোয়ারী উপজেলার নিতুপাড়ার বাসিন্দা লুবা আকতার (২৬) জানায়, হঠাৎ করেই মাথা ব্যাথা ও শরীরের ঝাঁকুনি নিয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হানপাতালে আসি।আটোয়ারী হাসপাতালে কোন চিকিৎসা নেই তাই ‘ এখানে এসেছি। তার স্বামী বলেন ‘দেখি এখানে ও চিকিৎসা না পেলে ঠাকুরগাওঁ বা অন্য কোথাও নিয়ে যাবো। সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের খাসমহলের বাসিন্দা রমিজ উদ্দীন বলেন ‘ পঞ্চগড় হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা নাজুক। একটু জটিল কিছু হলেই রংপুর দিনাজপুর যেতে হয়।
 
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন ‘ গনপূর্ত বিভাগ যদি হস্তান্তর করে  ‘পরবর্তীতে জনবল সহ আসবাপত্র লাগবে। সেগুলি সরবরাহ না করলে সেটি বন্ধ থাকবে। এমনিতেই ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে জনবল ঘাটতি ।ত বে জনবলের জন্য চাহিদা পাঠানো আছে।  

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত