লোডশেডিং
প্রথম দিনেই এক ঘণ্টার রুটিন মানতে পারেনি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২২, ১১:১৭ | আপডেট : ১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৪
জ্বালানি সাশ্রয়ে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের রুটিন (সময়সূচি) মানতে পারেনি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় রুটিনের (সূচি) বাইরেও লোডশেডিং করতে হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার ছিল সরকারের পরিকল্পিত লোডশেডিংয়ের প্রথম দিন। এ দিন ঢাকায় কোথাও কোথাও দুই থেকে তিন ঘণ্টা, আর ঢাকার বাইরে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে।
রাজধানীর দুটি বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি ও ডেসকো গতকাল দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ ঘাটতি পেয়েছে। কোনো এলাকায় এক ঘণ্টা দিলেও অন্য এলাকায় একটু বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে তাদের। ফিডার (একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের আওতাধীন এলাকা) ধরে লোডশেডিংয়ের রুটিন করা হলেও তা মানতে পারছে না ডিপিডিসি ও ডেসকো।
গতকালের সারা দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা ও উৎপাদনের তথ্য জানা যাবে আজ বুধবার। তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পূর্বাভাস বলছে, গতকাল দিনে সর্বোচ্চ চাহিদা হতে পারে ১৪ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। একই সময়ে ১২ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট উৎপাদন হওয়ার কথা। এতে ঘাটতি হতে পারে ১ হাজার ৯১৮ মেগাওয়াট। যদিও পিডিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৭৪২ মেগাওয়াট।
এক ঘণ্টা লোডশেডিং করে এ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব নয়। বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাবে এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ৯৭৬ মেগাওয়াট। অবশ্য প্রকৃত চাহিদা আরও বেশি বলে লোডশেডিং বাড়ছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত