পুরোপুরি চালু হলে মালয়েশিয়ায় ১৫ থেকে ১৬ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান হবে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৪৫ |  আপডেট  : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৯

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। এই শ্রমবাজার পুরোপুরি চালু হলে ১৫ থেকে ১৬ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও প্রবাসী মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে কনফিউজড করবেন না। আপনি যদি গত বছরের জুলাই থেকেও ধরেন তাহলে কিন্তু ১১ লাখ কর্মী যাওয়া হয়ে গেছে। জুলাই টু জুন দেন অল হ্যাব টু বি ১১ লাখ। এখন কথা হলো, আমি তো ১১ লাখে খুশি না, আমার ২২ লাখ হলে ভালো হয়। দেখা যাক, মালয়েশিয়া তো চালু হয়েছে। এই শ্রমবাজার চালু হলে ১৫ থেকে ১৬ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান হবে।’

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা অলরেডি মন্ত্রণালয় থেকে পুনঃমূল্যায়নের একটি খসড়া আবারও পাঠিয়েছি। মিনিমাম কত সেলারি হলে আমরা তাদের ডিমান্ড নোট গ্রহণ করব, এই প্রসেসে আমলা অলরেডি গেছি। আশা করি শ্রমিকরা ভালো বেতন পাবেন। আমাদের কিন্তু সৌদিতে কর্মীরা পায় ৮০০, কিন্তু অন্যান্য দেশের কর্মীরা পায় এক হাজার থেকে ১২০০ রিয়াল। অন্যদিকে যদি আপনারা দেখেন, ওদের স্কিল বেশি হওয়ায় বেতন বেশি। এজন্য আমাদের স্কিল লেভেলটা বাড়াতে হবে। সেখানে আমাদের দায়িত্ব পাওয়া ব্যক্তিরা আছেন।’

করোনাকালে নেওয়া বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রবাসীদের পুনর্বাসনে ৪২৭ কোটি টাকার প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি তো রাজনীতিবিদ। মাত্র ১৩ হাজার টাকা দিয়ে কিন্তু একটি পরিবারের এক সপ্তাহের বাজারও হয় না। এটা দিয়ে কাউকে প্রমোশনও করতে পারব না। কাউকে উৎসাহিতও করতে পারব না। এটা সম্ভবত ২৩টি জেলায় করার কথা। আর ওখানে অবকাঠামো সেটআপ করা হবে। আমি কিন্তু এই অবকাঠামো সেটআপ করার পক্ষে নই। আমার কথা হলো, এই টাকা যদি কর্মীদের বা গরিবের কাছে যায়, সে যদি একটা টং ঘরের মুদি দোকানও খুলতে পারে, সেটা হবে ভালো বিনিয়োগ।’

অভিবাসনে বেশি খরচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মাইগ্রেশন মূলত দুটি ভাগ। পাঠানো দেশ ও গ্রহণকারী দেশ। কর্মী পাঠানো দেশ হিসেবে আমাদের তো কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। রিসিভিং দেশে কী হয়, সেখানে কিন্তু আমাদের খুব একটা নিয়ন্ত্রণ থাকে না। কিন্তু আমার তো টার্গেট হলো আমি মানুষ পাঠাবো। এখন যে রিজিনেবল অ্যামাউন্ট না হলেও যেটা  আমাকে হজম করতেই হবে। এটা হজম বা বাধ্য হয়ে নয়, সে দেশের সিস্টেমের কারণে মেনে নিতে হয়। তবে অন্যায় হলে আমরা সেদিকে যাবো না।’ এক্ষেত্রে মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত