পুজার মার্কেট মন্দাভাব

  নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি  :

প্রকাশ: ৭ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৪৯ |  আপডেট  : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১১

আসছে দূর্গাপুজা। দূর্গাপুজা মানেই ব্যাপক উৎসব। এমন উৎসবে নতুন জামা কাপড় থাকবে না তা কী হয়? কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দূর্গাপুজা। যে পুজা উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি পরিবারে নিত্যনতুন জামা-কাপড় কেনার ধুম পড়ে যায়। বিগত বছরগুলোতে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে তা লক্ষ্যকরা গেছে। বিপুল পরিমাণ জামা-কাপড় বিক্রয় বেচাকেনা হয়েছে। এবার আর তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তুলনামূলকভাবে বেচাকেনা একেবারেই কম। সবাই এর কারণ হিসেবে দেখছে করোনা। করোনাকালীন সময়ে অর্থনৈতিক অবস্থার চরম বিপর্যয় ঘটে। যারা ব্যবসা বাণিজ্য করেছে তাদের ব্যবসা বাণিজ্যে চরম ধস নেমে আসে। 

অপরদিকে খেটে খাওয়া মানুষেরা ছিলো একেবারেই কর্মহীন। যে কারণে আয়ের সাথে ব্যয়ও কমে যায়। তার বিরুপ প্রভাব পড়েছে এবার পুজার মার্কেটে। উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ৫ টি ইউনিয়নে মোট ৪৪ টি দূর্গাপুজা মন্ডপে এবার শারদীয় দূর্গাপুজার আয়োজন চলছে। দূর্গাপুজা ধুমধামে করার আগ্রহ থাকলেও কেনাকাটায় নেই আগের মতো আগ্রহ। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের নর-নারীদের মার্কেটে জামা-কাপড় কেনার ধুম নেই। নন্দীগ্রাম শহরের সুমন সাথী বস্ত্র বিতানের প্রোপাইটর গোলাম মোস্তফা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে বেচাকেনা একেবারেই কমে গেছে। যে পরিমাণ বেচাকেনা হচ্ছে এতে ঘরভাড়াসহ কর্মচারীর বেতন দেওয়াই সম্ভব হবে না। 

রংধনু ফ্যাশনের প্রোপাইটর লিটন বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রতিদিন দোকান খুলে বসেবসে সময় কাটাচ্ছি। ক্রেতাদের তেমন আগমন নেই। তাই একরকম ক্রেতাশূণ্য বললেই চলে। এবার পুজার মার্কেট একেবারেই মন্দাভাব। এতে আমার দোকান ভাড়া এবং কর্মচারীর বেতন দিতেই হিমশিম খেতে হবে। আরতো হিসেব বাঁকিই থাকলো। একই কথা বলেছে, বিকাশ বস্ত্র বিতানের প্রোপাইটর বিকাশ চন্দ্র মহন্ত। নন্দীগ্রাম হিন্দুপাড়ার শিশির কুমার জানিয়েছে, মানুষ যেমন আয় করে তেমনি ব্যয় করতে অভ্যাস্ত। করোনা পরিস্থিতিতে আয়-ব্যয় একেবারেই কমে গেছে। তাই কেনাকাটার আগ্রহ তেমনটা নেই। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত