পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথম নিন্দু নারী প্রার্থী সাবিরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৯ |  আপডেট  : ১৩ মে ২০২৪, ০৮:৪৬

পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল ঘটনা ঘটতে চলেছে। । দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের জেলা থেকে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানি হিন্দু তরুণী সাবেরা তিনি। নির্বাচনে জয়ী হলে পাকিস্তানের প্রথম নারী সংসদ সদস্য হতে পারেন তিনি। এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবিরা।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ডা. সাবেরা প্রকাশ পেশায় একজন চিকিৎসক। তার বাবার নাম ওম প্রকাশ। তিনিও একজন চিকিৎসক ও রাজনীতিক। ওম প্রকাশ ৩৫ বছর ধরে বেনজির-বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সক্রিয় কর্মী।

এক সাক্ষাৎকারে সাবেরা বলেন, আমি আমার বাবার পথেই হাঁটছি। মানুষের সেবা করাটা আমার রক্তে মিশে আছে।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনে সাবেরা বুনের জেলার পিকে- ২৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে একটি আসনে একই রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা বা নেত্রী মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব একজনকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়ার পর বাকি সবাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। সাবেরার আশা, দলীয় হাইকমান্ড শেষ পর্যন্ত তাকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবে।

পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তিন ধরনের আসন রয়েছে। সাধারণ, নারী ও সংখ্যালঘুদের (হিন্দু, খ্রিস্টান, পার্সি, শিখ) জন্য সংরক্ষিত আসন। যে দল যতগুলো সাধারণ আসন দখল করবে, তার ভিত্তিতে সংরক্ষিত আসন পাবে। সংরক্ষিত আসনে তারা পছন্দসই প্রার্থীকে সংসদে পাঠাতে পারে।

স্থানীয় সমাজকর্মী ইমরান নোশাদ খান জানিয়েছেন, গত ৫৫ বছরে বুনের জেলা থেকে কোনো নারী নির্বাচনে দাঁড়াননি। এক্ষেত্রে সাবেরাই প্রথম। হিন্দু ধর্মের হয়েও যে পিকে- ২৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এ আসনটি সম্পূর্ণ মুসলিম অধ্যুষিত রক্ষলশীল এলাকার।

২০২২ সালে আবত্তাবাদ ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন সাবেরা। রাজনীতিতে যে তিনি একেবারে নতুন, না বলা যায় না। কারণ, তিনি বুনের জেলায় পাকিস্তান পিপলস পার্টির মহিলা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত