পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে অভিযানের ঘোষণা, আসছে পলিথিনের বিকল্প সোনালী ব্যাগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৮ |  আপডেট  : ৩ মে ২০২৪, ১৯:০১

পরিবেশ দূষণকারী পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে রোডম্যাপ অনুসারে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পাটমন্ত্রী বলেন, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে আমরা পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা এবং সোনালী ব্যাগ নামে একটা পাটজাত ব্যাগ তৈরি করেছি৷ আমরা গতকালকে ডিসি সম্মেলনে ডিসিদেরও বলেছি। পবিত্র মাহে রমজানের কারণে আমরা এই মুহূর্তে বাজারে কোনো ধরনের খোঁচা দিতে চাইনি। আমরা বাজারকে অস্থিতিশীল করতে চাই না। সে কারণে আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার কথা বলেছি। রমজানে যেসব মিলাররা বস্তা ব্যবহার করে, তাদের এনে সভা এবং কাউন্সেলিং করার কথা বলা হয়েছে। রোজার পরে এ বিষয়ে আমরা ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পরিবেশমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সব মন্ত্রী মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে একটি যৌথ সভা করা হবে। সেই যৌথ সভায় আমরা একটি রোডম্যাপ করব। সেই রোডম্যাপ অনুসারে আমরা পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।

তিনি আরও বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এর আওতায় ১৯টি পণ্যে পাটের মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ আইনটি প্রয়োগের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি বছর পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, পাট বীজের আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করে পাট বীজ উৎপাদন পাট চাষিদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা, পাটচাষের আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে পাট চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদানে পাট অধিদপ্তরের অধীন ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পটি দেশের ৪৫টি জেলার ২২৮টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। আশা করি, বাংলাদেশ উন্নত পাট বীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাট বীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না।

পাট মৌসুমে হাট-বাজারে নজরদারি জোরদার এবং নিয়মবহির্ভূত মজুত রোধে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে করে মিল মালিকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছেন, যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে। এছাড়া চাষিরাও পাটের সঠিক মূল্য পাচ্ছে। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) মাধ্যমে পাট পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে। 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, জেডিপিসির নিবন্ধিত উদ্যোক্তারা ২৮২ রকম দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন, যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার-প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া, ইজারার জন্য নির্ধারিত বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ২০টি মিল থেকে ইতোমধ্যে ১৪টি মিলের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। দুইটি মিলের চুক্তি সম্পাদনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং অবশিষ্ট চারটি মিলের ইজারা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত