পদ্মায় ডুবে যাওয়া সেই মাইক্রোবাস চালকের লাশ উদ্ধার
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২১, ০৯:৪৯ | আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫
মঙ্গলবার সকাল ১১টার পরে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে পন্টুনের তার ছিঁড়ে পদ্মায় ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসটি ওই দিনই উদ্ধার করা হলেও চালক নিখোঁজ ছিলেন। এর আগে গতকাল বুধবার সেই মাইক্রোবাস চালক ও মালিকের পরিচয় জানিয়েছিলো স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই মাইক্রোবাসের চালক মারুফ হোসেনের (৪০) লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিখোঁজের দুই দিন পর লাশ উদ্ধার সম্ভব হলো।
চালকের লাশ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন।
এসময় তিনি জানান, যেখানে মাইক্রোবাসটি পড়েছিল তার থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ৭ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে মারুফ হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। চালক মারুফ হোসেনের বাড়ি সিলেট হলেও তিনি ঢাকার রামপুরায় থাকতেন। তিন কন্যাসন্তানের বাবা ছিলেন মারুফ হোসেন।
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. মুন্নাফ আলী শেখ জানান, সকালে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের নিচের দিকে পদ্মায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তাদের খবর দেন। পরে তারা মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, এই মরদেহটি ২ দিন আগে পদ্মায় ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাস চালক মারুফ হোসেনের। তার পরিবারের সদস্যদের এ বিষয়ে খবর দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১১ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের পন্টুন তার ছিঁড়ে নদীতে চলে যায়। এ সময় ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন মাইক্রোবাসের চালক।
পুলিশ জানায়, মাইক্রোবাসের মালিকের শ্যালক ১০ মে বিদেশ থেকে দেশে আসেন। তাকে চুয়াডাঙ্গায় গ্রামের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে ১১ মে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন মারুফ। ফেরার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত