গরম কাপড়রে দোকানে মধ্যবিত্তদের ভীর
পঞ্চগড়ে শীতের দাপটে কাহিল দু:স্থ ও খেটে খাওয়া মানুষ
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৬ | আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯
পঞ্চগড় শহরের করতোয়া সেতুর সামনে প্রবেশ পথে অটো চালক মেরাজুল ইসলাম (৪৫) পিছন ফিরে বার বার পথের দিকে তাকিয়ে দেখছেন কেউ তার অটোতে য়াবে কিনা। তাকে জিজ্ঞেস করতেই বলল ভাই শীত খুব ভাড়া নাই।
এমন অবস্থা পথে ঘাটে। শীতের দাপটে কাহিল অবস্থা খেটে খাওয়া মানুষের। মেরাজুল ইসলামের মতো অনেকেই এই শীতে বেড়িয়েছে পেটের দায় নিয়ে। তবে মেরাজুলের মতো শ্রমজীবীর ভরসা তো মানুষকে নিয়ে তারাই তো তাদের ভরসা। মেরাজুল জানায় তার বাড়ি বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী এলাকায়। তার সংসার আছে ‘ আছে সন্তানরা। যতো শীত হোক না কেনো তাদের পেটে খাবার দিতে হবে।এমন সব শ্রমজীবীরা এখন দাপুটে শীতে আয় করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছে। দিন মুজুর পাথর শ্রমিক চা শ্রমিক সবার অবস্থা নাজুক। শরীরে শীতের কাপড় থাকলে ও থরে থরে কাপন থামছেনা।
পঞ্চগড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড শীতে কাহিল মানুষ। মেঘে ঢাকা আকাশ আর চারদিকে ঘনকুয়াশায় সাথে মৃদু শৈত্য প্রবাহে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। পথে ঘাটে শহর বন্দরে তরুণ থেকে যুবক বাড়ির বাইরে বের হয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাচার চেষ্টা করছে।কাজের তাগিদে শহর-বন্দর এলাকায় গিয়ে অনেকে চায়ের দোকানে গিয়ে চা পানে মনোনিবেশ করছে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার গলেহাকান্তমনি এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন শহরের সরকারি অডিটোরিয়ামের সামনে ভাসমান শীতবস্ত্রের দোকানে তিনি বলেন ‘ খুব শীত। বাচ্চার জন্য দুটি টাউজার নিলাম । দাম খুব বেশি। গরম কাপড় বিক্রেতা আলাউদ্দীন ও মঞ্জু বলেন বেচাকেনা মোটামুটি ভালো।
পঞ্চগড় বাজারের মুড়ি ব্যবসায়ি মহসিন আলী বলেন‘ আমাদের গরম আছে। এটা তো খাওয়ার জিনিস কম বেশি হলেও বিক্রি হচ্ছে। যতো শীত হোক আমাদের দোকান খুলে বসতে হবে। সোমবার আকাশে সূর্যের দেখা মিললেও মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) তার ছিটে ফোটা ও ছিল না। হিমহিম বাতাস আর ঘনকুয়াশার আবরণে ঢেঁকে ছিল চারদিক।আবহাওয়া দপ্তরের মতে, সোমবার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে মঙ্গলবার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭ । তবে সোমবারের চেয়ে শীতের তীব্রতা ছিল বেশি।
এদিকে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান ‘ জানুয়ারি মাস এভাবেই থাকবে। তবে এটাকে শৈত্য প্রবাহ বলেনা‘ বাতাসের গতির কারণে শীত বেশি লাগছে।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত