পঞ্চগড়ে নৈশ্য প্রহরী দিয়ে চলছে সেটেলমেন্টের কাজকর্ম

  কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ৫ জুন ২০২৪, ১৭:৪৭ |  আপডেট  : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৫৮

পঞ্চগড় সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের কার্যক্রম চলছে একজন নৈশ্য প্রহরী দিয়ে। এতে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। আবু সাঈদ নামে একজন আউটসোসিংয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছেন। যা সরকারী নিয়মের বিধিবর্হিভূত ।ওই নৈশ্য প্রহরীরাতের বেলা ডিউটি না করে সরকারি এই দপ্তরটিতে কাজ করে ভূমি মালিকদের নিকট হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যা সর্বজনজ্ঞাত, নাম মাত্র নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে রাতের আঁধারে অফিসের সব কাজ করছেন।আবু সাঈদ এর কাজ হল রাতের বেলা পাহারা দেওয়া আর অফিসের মালামাল দেখেশুনে রাখা। দিনের বেলা তার অফিসে কোন কাজ না থাকার কথা। তারপরেও তিনি অন্যান্য অফিসারদের সাথে হর হামেশা কাজ করে যাচ্ছেন। রীতিমতো তিনি অফিসার বনে যাচ্ছেন। বাহির থেকে দেখে কোন বোঝার উপায় নাই যে তিনি একজন নৈশ্য প্রহরী।সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার হেলাল উদ্দিন বলেছেন আবু সাঈদ আউটসোর্সিং এ নিয়োগ পাওয়া নৈশ প্রহরী আবু সাঈদ অফিসের কাজ করে। তবে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তাকে দিয়ে কেন কাজ করানো হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।অফিসের দোতলায় রয়েছে ফাকা রুম। সেখানে তৈরি করেছেন গোপন আস্তানা। জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ঝামেলা নিয়ে আসা সেটেলমেন্ট অফিসে সেবা নিতে গেলে আবু সাঈদের শরণাপন্ন হতে হয়। তাকে ছাড়া কোন কাজই হয়না। সেবা গৃহীতাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা করতে তাদের কে নিয়ে যান দোতলার রুমে। সমস্যা বুঝে টাকার পরিমান বলে দেন। চাহিদা মত টাকা দিলেই তার যত বড় সমস্যাই হোক না কেন সে সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। নৈশ প্রহরীর পাশাপাশি সাঈদ দালাল হিসেবেও পরিচিত। অফিসের বাহিরে রয়েছে অনেক দালাল। এসব দালালেরা আবু সাঈদকে দিয়েই অফিসের অবৈধ কাজকর্ম হাসিল করেন।

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের অফিসে জনবল কম থাকায় সে আমাদেরকে সহযোগিতা করছে। তবে সেবা গৃহীতাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার বিষয়ে বলেন সু নিদিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত