পঞ্চগড়ে গনহত্যা দিবস পালিত ‘ বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বোলন
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪২ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮
পঞ্চগড়ে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে গণহত্যা দিবস পালিত । দিবসটি পালনে সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা পরিষদের সামনে বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, পুলিশ সুপার এমএম সিরাজুল হুদা, সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরসহ বিভিন্ন সমামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পাশাপাশি গণহত্যা দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, পুলিশ সুপার এমএম সিরাজুল হুদা, সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সারোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়বুর রহমান বক্তব্য দেন। পারে মনোজ্ঞ দেশাত্ববোধক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে জেলা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমির শিল্পীরা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমি শিশুদের জন্য চিত্রাংকন ও দেশাত্ববোধক সংগীত প্রতিযোগিতা, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা। সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ সংলগ্ন বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্েরজ্জালন করা হয়।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে ব্যাপক গনহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সশস্ত্র অভিযান চালায় করে তার নাম অপারেশন সার্চলাইট। এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী।এরপর স্বাধীনতার জন্য ২৬ মার্চ শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বিজয় অর্জনের পর ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবস পালন করে জাতি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত