পঞ্চগড়ে কমেছে শীতের তীব্রতা
প্রকাশ: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৭ | আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:৫৬
উত্তরজনপদের শেষ জেলা পঞ্চগড়ে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ছিল নিম্নমূখী। পাশাপাশি হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছিল। এবছরের সর্ব নিম্নতাপমাত্রার পারদ নেমে ছিল গত ২৮ জানুয়ারি। তাপমাত্রার ঘরটি ছিল এক ডিজিটে। যা ছিল মাত্র ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটি ছিল পঞ্চগড়ে সর্ব নিম্নতাপমাত্রা। পাশাপাশি এটি এমৌসুমে দেশের সর্ব নিম্নতাপমাত্রা।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ি শুক্ররবার ও শনিবার ১ ও ২ ফেব্রয়ারি এদুইদিন একই তাপমাত্রা বিরাজ করে। এই দুদিন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ২৮, ২৯ , ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি তাপমাত্রা ছিল একডিজিটে। যথাক্রমে; ৭দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ,৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে দুই দিন ধরে দিনের বেলা শীতের দাপট নেই বললেই চলে। এ সময় মানুষ ¯স্বাভাবিক কাপড় চোপড় পড়ে চলাফেরা করে। বাসা বাড়ি ও রাস্তা ঘাটে মানুষকে আর আগুন পোহাতে দেখা যায়নি।
এর সাথে কমেছে ঘনকুয়াশা ও মৃদু শৈত্য প্রবাহের প্রকোপ। ১ ফেব্রয়ারি রাতে মধ্য রাতের পর শীত কিছুটা বেড়ে শুক্ররবার (২ ফ্রেবয়ারি) সকাল ৯ টা পর্যন্ত বিরাজ করে। তবে জানা গেছে তার আগে রাতের বেলা শীত তেমন একটা কাবু করতে পারেনি মানুষকে। তবে শুক্ররবার (২ ফেব্রয়ারি) সকালের পর পর আবহাওয়া অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। কুয়াশা ও মৃদু শৈত্য প্রবাহ না থাকলেও সূর্য উকি দিলেও তা ছড়াতে পারেনি রোদ্র। আকাশ মেঘে থাকায় পরিবেশ অন্ধকারছন্ন ছিল।
শ্রমজীবী মানুষ মাঠেঘাটে স্বাভাবিক নিয়মে কাজ কর্ম করতে থাকে।তবে কিছুটা শির শির বাতাস বইতে থাকে। তেতুঁলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন‘ এখন আগের মতো শীতের তীব্রতা হবে না। আস্তে আস্তে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। তাছাড়া আকাশে মেঘ আছে সে কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে না। এছাড়া আগের মতো ঘনকুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের সম্ভবনা কম।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত