জেলা আ’লীগের সভাপতি রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে

পঞ্চগড়ে আ’লীগের সা. সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থীর  সংবাদ সম্মেলন  

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৫ |  আপডেট  : ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৯

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দলে বিশৃংখলার সৃষ্টির অভিযোগ এনে শুক্ররবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে প গড় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন অতি সম্প্রতি জেলা আওয়ামীলীগ অফিসে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. সারোয়ার হোসেন বকুলকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন হিসেবে ঘোষনা দেওয়ার প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন‘ রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন সম্পূর্ন ভাবে দলের পরিপন্থি কাজ করেছেন। একমাত্র পঞ্চগড় ছাড়া দেশের ৬৩ জেলায় এমন ঘটনা ঘটেনি।তিনি বলেন গত ২০ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের অফিসে অনির্ধারিত পাবলিক মিটিং ছিল সেখানেই তিনি হঠাৎ করেই যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. সারোয়ার হোসেন বকুলকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন হিসেবে ঘোষনা দেন।

আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন রেলমন্ত্রীর সেচ্ছাচারি, মনগড়া, স্বপ্রনোদিত ও অগঠনতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত আমি কোনো ভাবেই মেনে নিতে পরিনা। এটা রেলপথমন্ত্রী কোন ভাবেই করতে পারেন না।এটি শুধু আমাদের নেত্রী আছে ‘জননেত্রী দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এই সিদ্ধান্ত রেলপথমন্ত্রী দিতে পারেন না।আমাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে উৎসাহিত করেছেন।আমি তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন সভাপতি ও রেলপথমন্ত্রী মহোদয় ঢাকায় থাকেন সাংগঠনিক সব কাজ আমাকেই করতে হয়। আমি কোথাও গেলে আমার দায়িত্ব যুগ্ম সাধারন সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়ে যেতে পারি। এছাড়া সভাপতির এটা এখতিয়ার নেই। এই সিদ্ধাান্তকে আমি ঘৃনা করে ও তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাধারন সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, রেলপথমন্ত্রী পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামীলীগের এমপি প্রার্থী। তার  আর্থিক বা সাংগঠনিক বিশৃংখলার উদ্দেশ্য থাকতে পারে।আর প গড় চিনিকল মাঠে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আমি এ কারনেই যাইনি যে,তার আগের দিন দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদককে সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি এ কারনে বিব্রত ছিলাম ‘রেলপথমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধারেখে ওইদিন সংবাদ সম্মেলন করিনি। ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে উপস্থিতি ছিল কম। এতে আমি হতাশ হয়েছি। উপস্থিতির কারন  সাধারন সম্পাদককের দায়িত্ব যুগ্ম সাধারন সম্পাদককে দেওয়া ।

এবিষয়ে রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেন নি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জুরফিকার আলী, দপ্তর সম্পাদক মো. মাসুদ পারভেজ (হিটলার) কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. সফিয়ার রহমান,  জেলা মৎস্যজীবীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান ও জাতয়ি শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক মো. নূরুজ্জামান প্রমূখ। 

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত