পঞ্চগড়ে আবারো বাড়ছে আলুর দাম

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৬ |  আপডেট  : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৭

পঞ্চগড়ে চাহিদার পাশাপাশি আলুর উৎপাদন ও বেড়েছে, তবে কমছেনা দাম । চালের পরেই এই পণ্যটির চাহিদা বেশি। এক সপ্তাহ পর আবারো আলুর বাজার অস্থির। ব্যবসায়ির পাশাপাশি অধিক মুনাফার আশায় কৃষকরাও হিমাগারে আলু রাখা শুরু করেছে। ফলে জেলার হিমাগারগুলিতে ব্যস্ততা ও বেড়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেচাহিদা সম্পন্ন আলু নিয়ে দেশব্যাপি শুরু হয় নানা আলোচনা ও সমালোচনা। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলুর দাম বেঁধে দিয়েও বাড়তি দামের লাগাম টেনে ধরা যায়নি। এক কেজি আলুর দাম গিয়ে ৭০ টাকায় ওঠে। পঞ্চগড় বাজারে একমাস ধরে আলুর দাম কমতে থাকে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকের আলু তোলা শুরু হলে কাডিনাল প্রতি কেজি ২০ টাকায় পাওয়া যায়। তবে দেশি আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে হঠাৎ করেই আলুর বাজার অস্থির হয়ে উঠে। 

রবিবার পঞ্চগড় বাজারে গিয়ে দেখা যায় কাডিনাল ও দেশি সহ সব ধরনের আলুর দাম চড়া। প্রতি কেজি আলুতে ১০ টাকা বেড়ে এখন কাডিনাল ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পঞ্চগড় বাজারের ব্যবসায়ি আনোয়ার হোসেন সামু জানান কাডিনাল প্রতি কেজি আলু বিক্রি করা হচ্ছে ২৬ টাকা, খুচরা ৩০ টাকা। দেশি আলু মানভেদে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তিনি বলেন ক্ষেতে পাইকাররা আলু কিনছে ২২ টাকা কেজি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার ৯ হাজার ৫৫৭ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। তবে অবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর। উৎপাদিত আলুর পরিমান ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪৮৮ মেট্রিক টন। তবে গতবারের চেয়ে এবারে আলুর আবাদ বেড়েছে। গতবার আলু আবাদ হয়েছে ৮৩০ হেক্টর। উৎপাদিত আলুর পরিমান ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫ হেক্টর। এদিকে আল তোলার সাথে সাথে হিমাগারগুলোতে আলু মজুদ করছে কৃষক ও ব্যবসায়িরা পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার তাসি এগ্রো এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী নুরুননবী মুজমদার জানান‘ তার হিমাগারে ১ মার্চ থেকে আলু নেওয়া শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর নাগাদ এই আলু হিমাগারে মজুদ থাকবে।সেখান থেকে কৃষক বা ব্যবসায়িরা আলু ক্রয় বিক্রয় করবে।

এদিকে দেবীগঞ্জের দেবীডুবা ইউনিয়নের গাড়ান্ডি,বেলতলী দন্ডপাল ইউনিয়নের খগের হাটও প্রেমবাজার ও সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের তেলিপাড়া ও শীবের হাট ও বোদা উপজেলার ভীমপুখুরী ও তেপুখুরিয়া উলিপুখুরী এলাকায় কয়েকদিন ধরে কৃষকদের আলু তুলতে দেখা যায়। 

এছাড়া সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের রতনীবাড়ি, কহুরুর হাটএবং হাড়িভাসা ইউনিয়নের মাটিয়াপাড়া ,বকুধলী ও বড়বাড়ি এলাকার বিস্তৃণ এলাকায় এমনি অবস্থা
দেখা যায়। বোদা উপজেলার ভীমপুখুরী এলাকার কৃষক কৃষ্ণ কুমার রায় বলেন‘ এবার বিঘায় আলুর আবাদ কম হয়েছে। বিঘা প্রতি যেখানে ১০০ মন আলু উৎপাদন হতো। এবার সেখানে সর্বোচ্চ ৭০ মন আলু (কাডিনাল) পাওয়া গেছে। কারন হিসেবে তিনি বীজতে দায়ী করেন। কৃষক কৃষ্ণ কুমার রায় জানান, তিনি পাইকারি দরে প্রতি কেজি আলু বিক্রি করেছেন ২৪ টাকা।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল মতিন জানান, আলু তোলা শেষ হওয়ার পথে।এরই মধ্যে ৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর আলু তোলা শেষ হয়েছে। বাকি সব আলু এক দুইদিনের মধ্যে শেষ হবে।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত