পঞ্চগড়ে আওয়ামীলীেগ নেতা কর্মীদের বাড়িতে আগুন

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৪ আগস্ট ২০২৪, ২০:০১ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৮

পঞ্চগড়ে একদফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী-জনতা পৌর মেয়র, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক , জেলা আওয়ামীলীগের জেলা অফিস আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে।

এ সময় আন্দোলনকারিরা পুরো পঞ্চগড় শহরকে নিয়ন্ত্রণ করে নেয়। শিক্ষার্থী-জনতা শহরকে বিক্ষোভ আর মিছিলে মিছিলে কম্পিত করে তোলে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় পঞ্চগড় জেলা শহর-উপশহরের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকে মেডিসিনের সব দোকানও। একদফায় আন্দোলনরত কর্মীদের মাথায় লাল কাপড় ও হাতে লাঠি সোটা দেখা যায়।

রবিবার সকাল ১০ টার পরেই ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন। চলে প্রায় দুপুর তিনটা পর্যন্ত। এসময় গনমাধ্যমকর্মীসহ কাউকে মোটর সাইকেল-সাইকেল রিকসা ভ্যান অটো শূণ্য হয়ে পড়ে জেলা শহর। শহরময় আতঙ্ক ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শহরের দোকানপাটের সামনে ও সড়কের পাশে কিছু উৎসুক মানুষকে দেখা যায়। দুপুর তিনটার পরে পুলিশ-বিজিবিকে শহরে টহল দিতে দেখা যায়।

এদিকে ঘটনার সময় পুলিশ-বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে শহরটিতে টহল দিতে দেখা যায়নি।এ সময় পঞ্চগড় সদর থানার গেঠে বেশকিছু পুলিশ সদস্যকে সর্তক থাকতে দেখা যায়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-জনতা বিক্ষোভ মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার পদত্যাগ সহ নানা শ্লোগান দিতে দেখা যায়।এমন অফিসপাড়ার কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে শহরের সব ব্যাংক বিমা অফিস বন্ধ রাখে সংশ্লিষ্টরা। ফলে লেনদেনে ভাটা পড়ে। এই ঘটনা চলাকালে রাস্তার পোলে লাগানো সিসি ক্যামেরা ও টানানো নানা রঙের দলীয় ব্যক্তিগত বিলবোর্ড ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী-জনতা এসময় গনমাধ্যমকর্মী সহ সাধারন মানুষকে ছবি তুলতে বাঁধা প্রধান করেন।

এদিকে জানা যায়, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী-জনতা পঞ্চগড় পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুনের রাজনগড় নতুনবস্তির ভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তার স্বামী আনোয়ার হোসেন মুঠো ফোনে জানান, আগুনে পুরো ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন শুধু ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে।

এছাড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার সাদত সম্রাটের শহরের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় মোটর সাইকেলসহ কয়েটি গাড়ি পুড়ে যায় বলে জানা যায়। তাকে মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি। সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলামের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। তিনি মুঠোফোনে জানান, তার বাড়িটি পুড়ে যায় এবং নিজের ব্যক্তিগত প্রাউভেটটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগুন দেওয়া হয় পৌর কাউন্সিলর আরিফ হোসেনের বাড়িতেও।

এছাড়া জানা যায়, রাজনগড় নতুবস্তির বাসিন্দা পঞ্চগড় পৌর কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই জেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের সভাপতি হাসনাত হামিদুর রহমান, জেলা আওয়ামলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লবের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এদিকে শনিবার রাতে স্থানীয় এমপি ও কয়েকজনের ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত স্টাটাস দেওয়া হয়।

তবে এবিষয়ে জেলার দায়িত্বশীল এক পুলিশ কর্মকর্তাকে মুঠো ফোনে কল দিলে তারা এ বিষয়ে কিছু জানান নি। সদর ওসির মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত