নোয়াখালীতে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনি নোটিশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:২৯ |  আপডেট  : ১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৫

নোয়াখালীর সাউথবাংলা হাসপাতালে ডাক্তারদের অবেহলা ও অপচিকিৎসার কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার, নোয়াখালী জোলার সিভিল সার্জন, নোয়াখালীর সাউথবাংলা হাসপাতাল, হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) ডাক্তার মো. আক্তার হোসেন অভি, তার স্ত্রী ও নোয়াখালী ম্যাডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস), জুনিয়র লেকচারার ডাক্তার ফৌজিয়া ফরিদ, সাউথবাংলা হাসপাতালের মেডিক্যাল সহকারী জাহিদ হোসেন ও সাউথবাংলা হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ সজিব উদ্দিন হৃদয়কে এ নোটিশ পাঠানো হয়।  

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার) ডাকযোগে এ নোটিশ প্রেরণ করেন। 

নোটিশে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর রাতে সেনবাগ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এমএ আউয়াল তার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে উম্মে সালমা নিশির চিকিৎসার জন্য সাউথবাংলা হাসপাতালে আসেন। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কর্মরত মেডিক্যাল সহকারী জাহিদ হোসেনের সহায়তায় ডা. আক্তার হোসেন অভি ও তার স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া ফরিদ রোগীকে হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি না করে, রোগীর কোনও রকম পরীক্ষা-নীরিক্ষা না করে এবং অভিভাবকের সম্মতি না নিয়েই তাড়াহুড়া করে সিজার করেন। এসময় ঘটনাস্থলেই মা ও সন্তানের মৃত্যু হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক ডা. অভি ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ফরিদ প্রসূতির অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে কুমিল্লায় রেফার করে। ভিকটিমের অভিভাবকরা তাকে কুমিল্লার টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান অনেক আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 

নোটিশে ভিকটিম উম্মে সালমা নিশি ও তার নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় ৫ দিনের মধ্যে ভিকটিমের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। অন্যথায়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। 

আইনি নোটিশে বলা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারদের ভুল ও অপচিকিৎসার কারণেই ভিকটিম ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। যা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ ও ৩২ এর লঙ্ঘন। তারা এর দায় কোনোমতেই এড়াতে পারেন না। 

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, রোগীকে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। 

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার) বলেন, নোয়াখালীর সাউথবাংলা হাসপাতালে আমার মক্কেলের মেয়ের সাথে যা ঘটেছে তা খুবই হৃদয় বিদারক। একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে কোনও রকম পরীক্ষা না করেই সিজার করা কোনোভাবেই মেনে না যায় না। হাসপাতার কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারদের অর্থের লোভেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুটি মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না। 

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত