মেঘনার ভৈরবে নৌকাডুবি :

নিখোঁজ শিশু রাইসুলের মরদেহ উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪ |  আপডেট  : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় পুলিশ সদস্য সোহেল রানার ছেলে রাইসুলের (৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে নিখোঁজ সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, আটজন নিখোঁজ ছিল, আমরা সবাইকে উদ্ধার করেছি। এ পর্যন্ত ১১ জনকে জীবিত ও নদী থেকে আটজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এ ছাড়া সুবর্ণা বেগম নামে ভৈরবের কমলপুরের এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দিনই মারা যান।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ এসে জানায় কেউ নিখোঁজ আছে তাহলে আমরা আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করবো।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব ব্রিজের নিচ থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে ঘুরতে বের হন কয়েকজন। ইফতারের আগ মুহূর্তে ট্রলারটি চরসোনারামপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।

শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টার দিকে তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্যের ডুবরি দল। এরপর নিখোঁজ আটজনের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫) ও নরসিংদী শহরের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী টুটন দের মেয়ে আরাধ্যকে (১১) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ পর্যন্ত মোট তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ স্বজনদের মাধ্যমে জানা যায় এখনও এক পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজরা হলেন, নরসিংদির বেলাব থানা পুলিশের দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮), শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫), পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৪), তার মেয়ে মাহমুদা সুলতানার (৭) ও ছেলে রাইসুল (৫)।

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত