ধানের বাজার দর বেশি হওয়ায় নন্দীগ্রামে খাদ্য গুদামে ধান দিচ্ছে না কৃষকরা

  নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৬ |  আপডেট  : ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৬

বগুড়ার নন্দীগ্রামে গত ৫ ডিসেম্বর সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। সেই উদ্বোধনের ১ মাস অতিবাহিত হলেও ধান দিচ্ছে না কৃষকরা। এর কারণ ধানের সরকারি দরের চেয়ে বাজার দর বেশি। একারণে খাদ্য গুদামে ধান দিতে কৃষকদের কোনো আগ্রহ নেই। তবে ৬ ডিসেম্বরের তথ্যমতে চাল কল মালিকদের নিকট থেকে ২১৯.৪৫০ মেট্রিক টন আমন ধানের চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি কাজ না থাকায় নন্দীগ্রাম এলএসডির শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছে। কাজ না থাকার কারণে অনেক কষ্টে তাদের জীবনযাপন করতে হচ্ছে। 

নন্দীগ্রাম এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আলমগীর বলেন, এবছর নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকদের নিকট থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে ১৩৪২ মেট্রিক টন আমন ধান ও চাল কল মালিকদের নিকট থেকে ৪৭ টাকা কেজি দরে ৬৭২ মেট্রিক টন আমন ধানের চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত আমন ধানের দরের চেয়ে বাজার দর বেশি তাই খোলাবাজারে আমন ধান বিক্রয় করলে তুলনামূলক বেশি লাভ হয়। এছাড়া খাদ্য গুদামে ধান দেয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করা, সবধরনের ধান না নেওয়া, ধানের দাম হাতে হাতে না পাওয়াসহ নানা সমস্যা হয়। 

নন্দীগ্রাম এলএসডির শ্রমিক আব্দুস সাত্তার বলেন, খাদ্য গুদামে ধান আসছে না, কিছু পরিমাণ চাল ঢুকেছে। আমরা বসে বসে সময় পার করছি। কাজ না থাকায় আমাদের চলাই কঠিন হয়েছে।

নন্দীগ্রাম উপজেলা চাল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বলেন, ধান কিনে চাল করতে যে খরচ পড়ছে আর সরকারিভাবে যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে আমাদের কেজিতে ৪/৫ টাকা লোকসান হচ্ছে। লোকসানের পরেও শুধু লাইসেন্স ঠিক রাখতে ও সরকারকে সহযোগীতা করার জন্য চাল দিতে হচ্ছে। 

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাজেদুল ইসলাম জানান, বাজারে ধান ও চালের দাম বেশি। তাই খাদ্য গুদামে ধান দিতে কৃষকদের আগ্রহ নেই। চাল কল মালিকরা আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় তারা চাল দিতে সম্মত হয়েছে। তাদের সাথে যে চুক্তি হয়েছে এপর্যন্ত তারমধ্যে ৭০ ভাগ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত