দ্রুততম মানব-মানবী সেই পুরোনো মুখ ইসমাইল-শিরিনই
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৪৪ | আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৬
কিছুদিন ধরে অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকের চেনা দৃশ্যটাই আজ আবার দেখা গেল। বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের দ্রুততম মানব ও মানবী হয়েছেন দুই পুরোনো মুখ মোহাম্মদ ইসমাইল ও শিরিন আক্তার।
অবশ্য বাংলাদেশ গেমসে এবারই প্রথম তাঁরা সেরা হলেন এক শ মিটার স্প্রিন্টে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ গেমসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে খেলেননি ইসমাইল। শিরিন সেবার খেললেও নাজমুন নাহার বিউটির কাছে হেরে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। বাংলাদেশ গেমসে শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর কীর্তিটাও হয়ে গেল শিরিনের।
আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের ১০০ মিটার স্প্রিন্টের দিকেই চোখ ছিল সবার। দেখার ছিল নতুন কেউ উঠে আসেন কি না। কিন্তু ইসমাইল ও শিরিনকে হারানোর মতো অ্যাথলেট এই সময়ে নেই বাংলাদেশে। বিশেষ করে শিরিন দেশে এ নিয়ে টানা ১২ বার ১০০ মিটার জিতলেন। ইসমাইল জিতলেন চারবার। দুজনই সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ওড়ান সেরার পতাকা। আজ আবার দুজন একইভাবে নিজ দল নৌবাহিনীর পতাকা নিয়ে বিজয় আনন্দ করলেন।
জয়ের পর ইসমাইল বললেন, ‘আগের বাংলাদেশ গেমসে লং জাম্পে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। বাংলাদেশ গেমস প্রথমবার সেরা হয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত।’ যোগ করেন, ‘করোনার মধ্যে পারফরম্যান্স ভালোই হয়েছে (হাতঘড়িতে আজ ১০০ মিটারে টাইমিং ১০.৫০ সেকেন্ড)। অল্প অনুশীলন করে দ্রুততম মানব হতে পেরেছি। এখন অনুশীলন করা যায় না ঠিকমতো। এক বেলা অনুশীলন করতে পারি। তাও মাঝেমধ্যে এক বেলা আসতে পারি না মাঠে। বিভিন্ন রুটিন থাকে। করোনা শেষে আশা করি ভালো টাইমিং করতে পারব।’
দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলনের দাবি জানিয়ে ইসমাইল আবারও বলেন, ‘অলিম্পিকের আগে আমাকে অনুশীলনের সুবিধা দেওয়া উচিত। তাহলে আশা করি টাইমিংটা ভালো হবে। নৌবাহিনী আমাদের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এখন ফেডারেশন থেকেও সেটা দেওয়া হলে ভালো করবে পারব। কিন্তু করোনার কারণে সব আটকে গেছে।’
১০০ মিটারে গত কয়েক বছরে অপরাজেয় শিরিনের কথা, ‘এই জয়ে অনুভূতি প্রকাশ করার কিছু নেই। এটা শুধুই অনুভব করা যায় এবং করছি। বাংলাদেশ গেমসে প্রথম সোনা জিতে আমি খুশি (আজ তাঁর টাইমিং হয়েছে ১১.৬০ সেকেন্ড)। এর পেছনে পরিশ্রম করেছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, বিকেএসপি, নৌবাহিনী। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার কোচ আবদুল্লা হেল কাফিকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
টানা ১২ বার দ্রুততম মানবী হওয়ার আনন্দে আত্মহারা শিরিন যোগ করেন, ‘বাংলাদেশে টানা ১২ বার ১০০ মিটার জেতা রেকর্ড। আমি চাই আরও সামনে এগিয়ে যেতে। আমার লক্ষ্য অলিম্পিক।’ কিন্তু শিরিনের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণ হচ্ছে, দেশে নতুন অ্যাথলেট উঠে আসছে না। কিন্তু কেন? প্রশ্নটি করলে হেসে শিরিনের জবাব, ‘সাকিব ভাই কেন টানা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার? আমার ইভেন্টে বাকিরা কী করছে জানি না। তবে আমি আমার ক্ষুধা মেটাতে খেলছি।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত