ডিম ও মুরগিসহ নিত্যপণ্যের বাজার চড়া

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দুর্বিবষহ জনজীবন

  শাহনাজ বেগম

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২২, ২০:১২ |  আপডেট  : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৪

গত দুই বছর করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াই করে কেটেছে মানুষের জীবন।   সেই ধাক্কা সামলাতে গিয়ে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন এমনিতেই চরম সংকটে। চিকিৎসা,  বাসস্থানসহ  মৌলিক চাহিদাগুলোতে ব্যয় কমিয়ে ফেলেছে দেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ। 

এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে রীতিমতো অসহায় দেশবাসী।  বাজারের ওপর নেই কোন পর্যায়ের  নিয়ন্ত্রণ।  ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করছেন বলে মনে করছেন খুচরা বাজারের বিক্রেতারা।  নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলছে তারা।

ইতিমধ্যে গত এক সপ্তাহে ডিমের এবং মুরগির সর্বোচ্চ চড়া দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবন ধারণ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ডিমের হালি সর্বোচ্চ ৬৫/ ৭০ টাকায় বিক্রয় হতে দেখা গেছে কোথাও কোথাও৷ ফলে নিত্যপণ্যের বাজারে কমতে শুরু করেছে ক্রেতা। 

মুরগির বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়ায় সরবরাহ থাকলেও চাহিদা না থাকায় অস্বস্তিতে ভুগছেন বিক্রেতারা। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের পক্ষে সহজলভ্য ডিম ও ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির চড়া দামের কারণে সেখান থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা।  খাদ্যাভাসে নিয়ে আসছেন পরিবর্তন। 

ডিম, মুরগিসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের জনগণ। কোন কোন ক্ষেত্রে সরবরাহ থাকলেও বিক্রির বাজারে মন্দা থাকায় বিক্রেতার মাথায় হাত পড়ছে। 

একদিকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে পরিবহন খরচসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে এক শ্রেণির সুবিধাবাদী ইচ্ছেমত পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।

এ অবস্থায় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে না পারলে দরিদ্র মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন ভোক্তারা।  করোনার কারণে দেশে দেড় কোটি দরিদ্র বেড়েছে।

ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় নিত্যপণ্যের মূল্য  স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে কে আমদানি রপ্তানি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে বাজার তদারকি বাড়ানের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বলেও তারা মনে করেন।

পাশাপাশি গ্রাম ও শহরাঞ্চলের প্রান্তিক ও শ্রমজীবী মানুষ যাতে খেয়ে পরে বাঁচতে পারে,  সে জন্য নিত্য পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এসব পদক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আসে সেদিকেই এখন  তাকিয়ে আছে মানুষ। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত