দেশে শিগগিরই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের টিকা উৎপাদন শুরু হবে- প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১২:১৩ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২

দেশে শিগগিরই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের (এলএসডি) টিকা উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (৯ আগস্ট) বিকালে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) পরিচালনা বোর্ডের ৪৬তম সভায় তিনি এ কথা জানান। বিএলআরআই পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। দেশের যেখানেই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ দেখা যাবে সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, বিএলআরআই বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত উন্নয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে আমরা যত গতিশীল করতে পারবো, আমাদের গবেষণা যত বাড়বে, তত প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করতে পারবো।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বিএলআরআই সম্প্রতি গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের ভ্যাকসিন সিড উদ্ভাবন করেছে। এটি দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে বড় অর্জন। এর মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এ ভ্যাকসিন সিড প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই সিডের মাধ্যমে লাম্পি স্কিন ডিজিজের বহু সংখ্যক টিকা উৎপাদনে সক্ষম হবে। এ টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে সহজেই লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

তিনি বলেন, ‘একসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল শুধু প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এখন আমাদের লক্ষ্য প্রাণিসম্পদের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং এর বহুমুখী ব্যবহার ও প্রক্রিয়াকরণ। এ ক্ষেত্রে বিএলআরআই’র বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনে আমরা শুধু সক্ষমতা অর্জনই নয় বরং উদ্বৃত্ত অবস্থানে রয়েছি। পৃথিবীর অনেক দেশে আমাদের মাংসের চাহিদা রয়েছে। তারা আমাদের গবাদিপশুর রোগমুক্ত অঞ্চল থেকে মাংস আমদানি করতে চায়। রোগমুক্ত অঞ্চল সৃষ্টি করতে হলে আমাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে। গবাদিপশুর রোগ নির্মূল করতে না পারলে আমরা প্রত্যাশিত মাত্রায় মাংস রফতানি করতে পারবো না। এজন্য গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধ করার ওপর সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’

বোর্ড সভায় আরও ছিলেন বিএলআরআই পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও ময়মনসিংহ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোসলেম উদ্দিন, পরিচালনা বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই’র প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খান, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সচিব ও বিএলআরআই’র মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও প্যারাগন গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইয়াসমিন রহমান, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাকিলা ফারুক, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত