দেশব্যাপী “আপনার মাস্ক কোথায়” ক্যাম্পেইন নিশ্চিত করলো দশ লাখ মাস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৫৭ | আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪১
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় তিন দিনব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান “আপনার মাস্ক কোথায়” সফলভাবে শেষ হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য ছিল সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মাস্ক পরার ব্যাপারে মানুষের আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা। দারাজ অনলাইন শপিং, কনফিডেন্স গ্রুপ এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সাথে অংশীদারিত্বে এই ক্যাম্পেইনটি জাগো ফাউন্ডেশনের একটি উদ্যোগ।
জাগো ফাউন্ডেশনের সেচ্ছাসেবী প্লাটফর্ম “ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ” এর প্রায় ৭০০০ যুব স্বেচ্ছাসেবক ২৮শে জানুয়ারী থেকে ৩১শে জানুয়ারী পর্যন্ত এই প্রচারে অংশ নিয়েছিল। তারা মাস্ক বিতরণের সাথে সাথে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ এবং মসজিদ সহ বিভিন্ন স্পটে ওয়ান টু ওয়ান সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। দেশব্যাপী ৩ দিনের এই ক্যাম্পেইনে তারা ব্যস্ত রাস্তা, গণপরিবহন, ওভারব্রিজ, বাস স্টপ ও জনসমাগম বেশী হয় এমন স্পটসমূহে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এবং প্রায় দশ লাখ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছেছেন। সম্পূর্ণ প্রচারণাটি কোভিড প্রোটোকল বজায় রেখে পালন করা হয়েছে।
রাজধানীর গুলশান ২, বনানী ১১, কাকলী, কারওয়ান বাজার ও ধানমন্ডির বিভিন্ন ব্যস্ত সড়কে এ প্রচারণা চালানো হয়। এছাড়াও, স্বেচ্ছাসেবকরা সচেতনতা বাড়াতে ব্যস্ত সড়কের পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদে জনসাধারণের কাছে মাস্ক বিতরণ করেছেন। সমাপনী দিনে, আয়োজকদের প্রতিনিধিরা যুব কর্মীদের সাথে প্রচারে যোগদান করেন এবং এই ব্যাপক দেশব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচারে তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
দারাজের চিফ মার্কেটিং অফিসার তাজদিন হাসান বলেন, “আমাদের ব্র্যান্ডের উদ্দেশ্য হল বাণিজ্যের শক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় সম্প্রদায়কে উন্নীত করা। এই মুহুর্তে, কোভিড প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে যা একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে মাস্ক পরা অতি প্রয়োজনীয়। তাই আমরা সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে চেষ্টা করছি এবং এটিই মাস্ক সরবরাহের মাধ্যমে সুরক্ষা বজায় রাখার এই সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের সাথে আমাদের অংশীদারিত্বের মূল কারণ।”
কনফিডেন্স গ্রুপের বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, “আমরা মনে করি এখন পর্যন্ত কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এটিই একটি সেরা এবং সাশ্রয়ী সমাধান। আলহামদুলিল্লাহ আমরা কিছু বেসিক কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করে গত ২ বছর ধরে ১% এর কম সংক্রামণের সাথে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এবং এই সময়ের মধ্যে আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি তার মধ্যে মাস্ক পরিধান করা অন্যতম।”
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা বলেন, “কোভিড-১৯ থেকে সবাইকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। মাস্ক ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করতে পারে এবং জীবন বাঁচাতে পারে। জাগো ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর করভি রাকসান্দ বলেছেন, “করোনাভাইরাস আরো অনেক দিন থাকবে এবং আমাদের কাছের এবং প্রিয়জনদের নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে আমাদের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করাই ভালো। আমরা প্রত্যেককে মাস্ক পরতে, হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে এবং ভিড় এড়াতে অনুরোধ করব।”
দেশে কোভিড-১৯-এর সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি আমাদের মাস্ক পরিধানের অপরিহার্যতা আবারো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। তাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই দারাজ, কনফিডেন্স গ্রুপ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং জাগোর এই উদ্যোগ যা কিনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে সহায়ক এবং তাদের কার্যক্রম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশিত বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১-এর সাথে সমান। তরুণদের উৎসাহ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সহায়তা করবে বলে তারা আশাবাদী।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত