বরাদ্দের টাকা লোপাট

দেবীগঞ্জ এনএন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগারের কার্যক্রম বন্ধ! 

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি  

প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৪২ |  আপডেট  : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২

তিন বছর পেরিয়ে গেলেও বিজ্ঞানাগারে নেওয়া হয়নি কোন নতুন সরঞ্জাম, কম্পিউটার ল্যাব খোলা হয় না নিয়মিত, ব্রডব্যান্ড সংযোগ থাকলেও অকেজো, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ধুলোয় ধূসর, নেই সিপিইউ। প্রতি বছর ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে টাকা নেওয়ার পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দ আসলেও তা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। দেবীগঞ্জ পৌর এলাকায় অবস্থিত নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলামের দিকে অভিযোগের তীর। তিনি ২০ অক্টোবর ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদ্যালয়ে প্রতি বছর ভর্তির সময় ১৯ টি খাতে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নেওয়া হয়। এরমধ্যে স্কাউট, কমনরুম, রেড ক্রিসেন্ট, অত্যাবশকীয়, লাইব্রেরী, গবেষণাগার, কৃষি ও বাগান, চিকিৎসা সেবা ও বিবিধ খাতে গত তিন বছরে সাত লাখ টাকা নেওয়া হয়। অত্যাবশকীয় ও কম্পিউটার সেবা খাতে গত ৩ বছরে সাড়ে আট লাখ টাকার বেশি আদায় হলেও নেই দৃশ্যমান ব্যয়। বিদ্যালয়ে পাঠদান বিভিন্ন বন্ধ মিলিয়ে বছরে প্রায় ৫ মাসই বন্ধ থাকে। ফলে গত ৩ বছরে টিফিন তহবিলে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্বৃত্ত থাকার কথা থাকলেও সেটিও নেই।

বিগত জুলাই মাসে সাত দিনে ২৩ হাজার টাকা টিফিন বিল আসলেও ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে ৭৬ হাজার টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করলে শিক্ষকদের বাঁধায় তা সম্ভব হয়নি। টিফিন পরিচালনা কমিটির সদস্য স্বপন চন্দ্র রায় প্রামাণিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কম্পিউটার ল্যাবে প্রবেশের পর সেখানে উপস্থিত দশম শ্রেণীর ছাত্ররা গত দুই বছরে মাত্র দুইদিন কম্পিউটার ল্যাবে এসেছে বলে জানায়। বিজ্ঞানাগারে গিয়ে আলমিরাতে ধুলোর আস্তরণ পড়া বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ও অস্পষ্ট লেবেলসহ কেমিক্যালের বোতল চোখে পড়ে। তাতেই মনে হচ্ছিল দীর্ঘ দিন পর বিজ্ঞানাগারের দরজা খোলা হয়েছে। উপস্থিত অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানায়, গত আট মাসে চলতি সপ্তাহে মাত্র দুই দিন বিজ্ঞানাগারে এসেছে তারা। অথচ সপ্তাহে তিন দিন বিজ্ঞান ক্লাস নেওয়া হয়। বিজ্ঞানাগারে বৈদ্যুতিক সংযোগও বিচ্ছিন্ন ছিল। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত