দুর্যোগ মোকাবিলায় দক্ষিণ সিটির জরুরি পরিচালনকেন্দ্র উদ্বোধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৩, ১৬:৫৯ |  আপডেট  : ২ মে ২০২৪, ২০:৩৭

দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় উদ্বোধন করা হয়েছে জরুরি পরিচালন কেন্দ্র (ইওসি)। সোমবার (২৬ জুন) নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

উদ্বোধন শেষে মেয়র তাপস বলেন, ‘আজ দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির উচ্চশিখরে পৌঁছতে পেরেছি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে রূপকল্প দিয়েছেন, তারই অংশ হিসেবে স্মার্ট ঢাকা গড়ার একটি নতুন ধাপে উন্নীত হওয়া গেছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলার তাৎক্ষণিক তথ্যগুলো আমরা দেখতে ও জানতে পারবো। যেমন, এখন যদি বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোথাও হয় ভূমিকম্প হয়, সেই তথ্যটি আমরা তাৎক্ষণিক পেয়ে যাবো। তেমনি বন্যা ও আবহাওয়াসহ যেকোনো দুর্যোগের তথ্য আমরা এই পরিচালন কেন্দ্রে পেয়ে যাচ্ছি।’

শেখ ফজলে নূর তাপস আরও বলেন, ‘যেহেতু দুর্যোগ অত্যন্ত জরুরি বিষয়, এজন্য তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কি জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে বা কি জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেগুলোর বিচার, বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা কিন্তু এখানে বসেই আমরা করতে পারবো। সুতরাং আজকে এই জরুরি পরিচালনা কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হলাম। এখন থেকে আমরা এই পরিচালন কেন্দ্রের মাধ্যমে যেকোনো দুর্যোগ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী কার্যক্রমগুলো এখান থেকে পরিচালনা ও তদারকি করতে পারবো।’

কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়র তাপস জানান, ‘আমরা ৯ জন কাউন্সিলরের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থায়ী কমিটি গঠন করেছি। দুর্যোগ পরবর্তী সভা করেছি। সেখানে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠসহ যে খোলা জায়গাগুলো রয়েছে, সেগুলো আমরা জিআইএস ম্যাপের মাধ্যমে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা সেগুলো ব্যবহার করবো। যাতে দুর্যোগের সময় আমাদের এলাকাবাসী সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। পরবর্তীতে যাতে সেখান থেকে আমরা উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি। এবার পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র থেকে পরিচালনা করবো। মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও আমরা এখান থেকে পরিচালনা করতে পারবো। এর বাইরেও সব ধরনের কার্যক্রমে এই জরুরি পরিচালনা কেন্দ্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

মেয়র বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক গঠনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। তাদের আমরা জরুরি প্রশিক্ষণ ও মহড়া দেবো। যাতে তারা যেকোনও দুর্যোগে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহ ও ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা আমাদের ব্যাপক কার্যক্রমের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব নিয়ম-শৃঙ্খলা পালন করা হয় সেসব বিষয়ে দক্ষ ও পারদর্শী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছি। এভাবে সামগ্রিক দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি আমূল পরিবর্তন আমরা ঘটাতে পারবো।’

এ সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, আরবান রিজিলিয়েন্স প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমানসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত