দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহার করে গান শুনে কানের ক্ষতি করছেন না তো?
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ | আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৭
বর্তমান সময়ে কাজের ফাঁকে কিংবা অবসরে অনেকেই গান হেডফোনে কান শোনের। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হেডফোনের দেখা পাওয়া যায়। ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী হেডফোন কেনেন। অনেকেই আছেন দীর্ঘসময় একটানা হেডফোনে গান শোনেন। বিশেষজ্ঞদের মতে এই অভ্যাসের ক্ষতিকর কিছু দিন আছে। যদি অভ্যাস এমনই হয়, তাহলে এখনি সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা।
হেলথশটের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে দীর্ঘসময় হেডফোনে গান শোনার ফলে কানের ক্ষতি হয়। হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে সরাসরি অডিও কানে যায়। ১০০ ডেসিবল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে। চিরতরে শ্রবণ শক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
হেডফোন কারও সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। এতে কানে সংক্রমণ হতে পারে। অন্য কারও কান থেকে ব্যাকটেরিয়া হেডফোনের মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে।
হেডফোন কোম্পানিগুলো এখন তাদের হেডফোনের অডিও এক্সপেরিয়েন্সের দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে। ফলে সাউন্ড কোয়ালিটি বজায় থাকে। বেশির ভাগ হেডফোন এয়ার-টাইট। অর্থাৎ কানে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। ফলে কানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হেডফোন থেকে সৃষ্ট ইলেকট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের এক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। মনে রাখবেন, কানের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ কিন্তু সরাসরি।
যে কোনো স্থানে হেডফোন ফেলে রাখবেন না। এতে এয়ারপ্যাড সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যা পরে কানের সংক্রমণে গুরুতর ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় হাই ভলিউমে গান শুনলে হেডফোন খোলার পরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না। এ ছাড়া হেডফোনে উচ্চশব্দে গান শুনবেন না। সর্বোচ্চ ৭০-৮০ ডেসিবেল শব্দে গান শুনতে পারেন। উচ্চশব্দ কানের পর্দায় গিয়ে খুব জোরে আঘাত হানে। দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত