দীর্ঘ লাইন দিয়েও মিলছে না চাহিদামত সার, কৃষকের বিক্ষোভ

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২২, ১৯:২০ |  আপডেট  : ১১ মে ২০২৪, ২১:১৫

বগুড়ার আদমদীঘিতে দীর্ঘ লাইন দিয়েও মিলছে না বহুল কাঙ্খিত চাহিদা মত সার। এতে করে বিপাকে পড়েছে এ অ লের কৃষকরা। রোববার উপজলো বিভিন্ন ইউনিয়নে ডিলারের গুদামে মজুদ সারের ঘাটতির কারণে মাঝ পথে বিতরণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সার না পেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ফিরে গেছে কয়েক শ’ কৃষক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দাবী কিছু অসাধু কৃষক ডিলারের দোকান থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার কিনে নিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করছে। কিন্তু সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় এ সংক্রান্ত তথ্য থাকলেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। ফলে খুচরা পর্যায়ে বেশী দামে সার কিনতে হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষকদের। 

জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার হাট বাজার ও গ্রাম-গঞ্জের সারের দোকানে মৌসুমের শুরু থেকেই সংকট চলছে। আমন ধান চাষাবাদের ভরা মৌসুমে সার সংকট দেখা দেয়ায় কৃষকদের মাঝে উৎকন্ঠা ও হতাশা বিরাজ করছে। গতকাল রবিবার আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার পৌরসভা, নশরৎপুর ও ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে বিসিআইসির চার ডিলারের মাধ্যমে ৬৫ মেট্টিক টন ইউরিয়া সার বিতরণ করা হয়। সার বিতরণের খবর পেয়ে সেই কাকডাকা ভোর থেকে ওইসব ডিলারের দোকানে কৃষকদের দীর্ঘ লাইন দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০ বিঘার উর্ধে কৃষকদের দুই বস্তা এবং তার নীচের পরিমান জমির কৃষকদের এক বস্তা করে সার দেওয়া হয়েছে। এতে করে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়ে। মোখলেছ হোসেন, আজিজার রহমান, পরিমল, তাপস, বেলাল হোসেন, ভুট্টু মিয়া, তাহের সরদার বাদশা মন্ডল, এনামুল হক, শহিদ মোল্লাসহ বেশ কিছু কৃষককে বলতে শোনা যায় দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থেকেও আমরা চাহিদা মত সার পাচ্ছিনা। এদিকে সান্তাহারের দুই ডিলারের মধ্যে রবিবার মেসার্স সন্তোষ আগরওয়ালা নামক ডিলারের দোকান থেকে সকাল ১০টার দিকে সার বিতরণ শুরু করা হয়। বিতরণ চলা অবস্থায় দুপুর দুই টার দিকে দোকানে কৃষি বিভাগের পক্ষে দ্বায়িত্ব পালনকারি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শামসুল কুদ্দুস ও কামরুজ্জামান কা ন মজুদ যাচাই কালে প্রায় দেড় মেট্টিক টন সার ঘাটতি দেখতে পায়। এর প্রেক্ষিতে সার বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় দুই শ’ কৃষক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা সার না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যায়।

 এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী মজুদ ঘাটতির কথা অস্বীকার করে বলেন, কিছু কৃষক ডিলারের দোকান থেকে সার নিয়ে পথে মধ্যে কারোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে এমন খবর পেয়ে বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত